কলকাতা প্রতিনিধি:
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লীতে এক ১৯ বছরের যুবতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অন্য এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অপরাধে।
ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমনই রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু, তর পরেও যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা বোধহয় ভাবেনি এ দেশের কেউই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লীতে এক ১৯ বছরের যুবতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অন্য এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অপরাধে। আইপিএস-এর ৩৭৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে যুবতীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারিণী মহিলা তার বক্তব্যে জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত যুবতী তার কোমরে একটি বেল্ট বেঁধে তাতে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। ২৫ বছর বয়সী অভিযোগকারিণী ওই মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ কোনও কেস নেয়নি প্রথমে। পরে কারকারদোমা জেলা আদালতে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন নিপীড়িত মহিলা।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায় অংশীদার করার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবতী ওই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। পরে তার আরও দুই পার্টনার, রোহিত ও রাহুলের সঙ্গে তার আলাপ করিয়ে দেয় সেই যুবতী। এবং তাদের সাহায্যেই এক বার নয়, বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। বিনিময়ে, মহিলার পরিবারকে ২০ হাজার টাকাও পাঠায় তারা। পূর্ব ভারতের বাসিন্দা ওই মহিলা মূলত কাজের খোঁজেই দিল্লী এসেছিলেন। ফলে, তার পরিবার সেই টাকা নিয়ে বিশেষ ভাবিতও হয়নি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ওই যুবতীর পুরুষ সঙ্গীরা তার ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করেনি। শুধুমাত্র সেই যুবতীই তাকে ধর্ষণ করেছে। এমন যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টো তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হয়।
আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশি তৎপরতায় ধরা পড়েছে রাহুল। বর্তমানে তার ঠিকানা তিহাড় জেল। বাকিদের খোঁজ চলছে।