স্পোর্টস ডেস্ক:
গুরুতর বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেনকে আলাদা চিঠি দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক নাসিরউদ্দিন এই চিঠি পাঠান বলে জানা যায়। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব ও তথ্য দিতে হবে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুদকের চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
দুদক কয়েকটি বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছে বলে জানান আবু নাঈম সোহাগ। তাদের চাহিদামতো তথ্যাদি সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, বাফুফের কয়েকটি অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে দুদক। ৩ বছর আগে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবলের ফাইনালে প্রাইজমানি প্রদানে বিলম্ব, ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটারের ঢাকায় আগমন উপলক্ষে বাড়তি টাকা খরচ, ২০১৬ সালে এএফসি সলিডারিটি কাপে না খেলার কারণে ২০ হাজার ডলার জরিমানা, বিভিন্ন সময় ফিফার অনুদানের টাকার অপব্যবহার, পাশাপাশি জাতীয় দলের সাবেক দুই কোচ নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টারের পাওনা নিয়ে সৃষ্ট ঝামেলা- এমন কয়েকটি বিষয়ে দুদক তথ্য জানতে চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এএফসি সলিডারিটি কাপে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। এ কারণে বাফুফেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। একই বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় নেপাল। ফাইনালে বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৩-০ গোলে হারায় হিমালয়ের কন্যারা। চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজমানি ছিল ৫০ হাজার ডলার। নগদ দেয়া হয় ২৫ হাজার ডলার। তবে বাকি অর্থ দিতে বিলম্ব করে দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে দুদকের নোটিশ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাফুফে। তারা দুদকের এই নোটিশকে দেখছেন রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘কেউ অভিযোগ করলে দুদক এটা খতিয়ে দেখতেই পারে। আমরা দ্রুত ডকুমেন্টগুলো দুদকে সরবরাহ করব।’
দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের টানা তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তিনি লড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তবে সালাউদ্দিনকে হটাতে তৎপর একটি শক্তিশালী গ্রুপ।
1