চাঁদপুর সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র (কেন্দ্র চাঁদপুর-১, আহম্মাদিয়া) এর সচিব ও শহরের আহমাদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ওই কেন্দ্রে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলার সময়ে এই ঘটনা ঘটে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই কেন্দ্র থেকে প্রায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল (বই এর পাতা) উদ্ধার করেন। যার পরিমাণ এক বস্তার অধিক হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে ওই কেন্দ্রে যান চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা। তিনি ওই কেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্রের অধিকাংশ কক্ষে অনিয়ম ও নকল করার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে তিনি ওই কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহার করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, হঠাৎ করেই শহরের টেকনিক্যাল স্কুল চাঁদপুর-১ মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাওয়া হয়। কক্ষগুলো পরিদর্শন করে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবার আবেদন করা হয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মঈনুল হাসান জানান, ঘটনাটি সত্য। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার পরীবর্তে ওই কেন্দ্র সহকারী সচিব ও সদর উপজেলার মনিহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার নাজির আহম্মেদকে সচিব করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ধরনের অনিয়ম হবে এটা কেউ আশা করেনি। আমরা সব সময় মাদ্রাসার শিক্ষকসহ সকলের কাছে ভাল কিছু আশা করি।
পুরোনো প্রশ্নে পরীক্ষা কাণ্ড: সচিবসহ ২৬ শিক্ষককে অব্যহতি
মাদারীপুরে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ও ১০১৯ সালের নৈর্ব্যক্তিক দিয়ে পরীক্ষা হওয়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ২৬ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পুরোনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষে এ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে পরীক্ষার্থীরা। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবরোধ তুলে নিলে পরীক্ষার কেন্দ্রে সচিবসহ ২৬ জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।