সময় এখন ডেস্ক:
ই-কমার্স সাইট ই-অরেঞ্জের ইস্যুতে আবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সোমবার তার মিরপুরের বাসায় আবারও হাজির হন ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়া গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের বরাত দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে যে মাশরাফি এ সময় তাদেরকে বলেছেন, ই-অরেঞ্জের কাছে পাওনা টাকা জানের সদকা হিসেবে ধরে নিতে। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কঠোর ভাষায় মাশরাফির সমালোচনা করেছেন অনেকে।
তবে এই ধরনের সংবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, এগুলো অপসাংবাদিকতা ছাড়া আর কিছুই না।
মাশরাফি বলেন, ইচ্ছা করে কেউ যদি এগুলো করে তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। আমি কী করিনি তাদের জন্য বা কোনো চেষ্টা কি করতেছি না? ইয়েলো জার্নালিজম করলে তো কিছু করার নাই। ভুল তথ্য দিয়ে… এই যে কালকে দেখলাম জানের সদকা বলা। এগুলা তো ইয়েলো জার্নালিজম।
ই-অরেঞ্জের ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের পাশে থাকবেন বলে ফের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাশরাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ওদেরকে আমি বলেছি যে, আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি আমি চেষ্টা করব। তবে আমারও তো সীমাবদ্ধতা আছে। এখন তো সবাই ওরা জেলে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বিষয়টা। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো কিছু বলা যাবে না।
ই-অরেঞ্জের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মাশরাফি চুক্তি করলেও সেটা শেষ হয় গত জুলাই মাসে। তারপরও বিতর্কিত এই ই-কমার্স সাইটটির সঙ্গে তার নাম জড়ানোতে বেশ বিরক্ত জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার।
মাশরাফি বলেন, শুরু থেকে বলে আসছি আমি আছি তাদের (গ্রাহক) সঙ্গে। এখনও বলছি। একজন মানুষ তো দুরকম কথা বলতে পারে না।
এর আগেও মাশরাফির বাসার সামনে ভিড় করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা। মাশরাফি বারবার বলে এসেছেন ই-অরেঞ্জের সঙ্গে তার চুক্তি এখন আর নেই। এমনকি ই-অরেঞ্জের পক্ষ থেকেও গ্রাহকদের বলা হয়েছিল, মাশরাফিকে যেন এসব বিষয়ে কেউ বিরক্ত না করে। কারণ মাশরাফির সাথে তাদের চুক্তি শেষ অনেক আগেই।