স্পেশাল করেসপন্ডেন্স:
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকে হাওয়া ভবন গড়ে তুলে দেশব্যাপী দুর্নীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তারেক রহমান।
জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের বড় পদে বহাল থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার, সীমাহীন দুর্নীতি, একাধিক নারীসঙ্গ উপভোগ করে দিন কাটাতেন তারেক। রোমানিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা DGDI (Directorate General of Defense Intelligence) তথ্য মতে এমন সত্যতা পাওয়া যায়।
ডিজিডিআইর মতে, খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ১৯৯১ সালে কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসাবে সে সময় অতি তরুণ থাকায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন ধারণা তখন অর্জিত হয়ে ওঠেনি তারেকের।
কিন্তু তিনি দেখেছিলেন তার মায়ের ব্যক্তিগত ও দলের নানান সাদা-কালো ও রঙ্গিন অধ্যায়। অন্যদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে বড়সড় ভূমিকা রাখেন তারেক রহমান।
তখন মা খালেদা জিয়াকে একরকম হুংকার দিয়ে বলেন, তুমি ও তোমার কুকীর্তির বিকল্প আরেকটি নেপথ্য শক্তি গড়ে তোলা হবে। সে ধারাবাহিকতায় খুলনার নেতা আলী আজগর লবির তত্বাবধানে রাজধানী ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবন একসময় চার দলীয় ঐক্য জোটের সরকার ছাপিয়ে হাওয়া ভবন শাসিত সরকার হয়ে পড়ে।
সে সময় পুরনো বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওরফে খাম্বা মামুন, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, লুৎফর রহমান আজাদ, লুৎফুজ্জামান বাবর ওরফে লাগেজ বাবর, সিলভার সেলিম প্রমুখ- সবাই তাকে বিভিন্ন সময়ে দেশের সিনেমার নায়িকা, গায়িকা, মডেল উপহার দিয়ে নিজেদের কাজ বাগিয়ে নিতেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ছিলেন তার আন্তর্জাতিক সফরের প্রধান নারী সরবরাহকারী।
জিয়াউল হক জিয়া ও বগুড়ার আরেক জিয়া (জিয়াউল হক মোল্লা- সাবেক সংসদ সদস্য) সমসাময়িক এক বৈঠকে ডিজিডিআই এর দুজন ক্যাডেটকে ভারতে যেয়ে তারেক রহমানের কীর্তির কথা অকপটে বলতে থাকেন।
তারা পৃথকভাবে বলেন, সময়টা ছিল ২০০৩ ও ২০০৪ সালের দিকে। হোটেলে উঠেই তিনি নির্দেশ দেন, আমার বলিউড নায়িকা লাগবে। বাধ্য হয়ে সে নির্দেশ পালন করতে ছোটাছুটি করতে হয়েছিল।
অন্যদিকে সে সময় তারেক রহমানের বনানীতে আরেকটি বিশেষ হাউজ ছিল। যা তিনি আমোদ ফুর্তির জন্যই ভাড়া নিয়েছিলেন। অনেক কষ্ট করে ঐ হাউজের দায়িত্বে থাকা দুলাল ও শিশিরকে ডিজিডিআই খুঁজে বের করে।
যেখানে তারা স্বীকার করে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতা সম্পন্ন সুন্দরী মেয়েদের বায়োডাটা সংগ্রহ করা হতো শুধুমাত্র তারেক রহমানের জন্য। বাংলানিউজব্যাংক।