সময় এখন ডেস্ক:
ঋণ খেলাপির অভিযোগে আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা করতে চেয়ে শাফিন আহমেদের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এবার সেই প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানিতে তাকে বৈধ করা হয়।
এর আগে গত শনিবার ঋণ খেলাপের অভিযোগে শাফিন আহমেদ প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন ডিএনসিসি‘র রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। এদিন (বুধবার) রাতে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।
শাফিন আহমেদ বলেন, আমি আমার মেয়র প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আপিল করেছিলাম। বুধবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আমার উপস্থিতিতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আমার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার ফলে ডিএনসিসি‘র মেয়র পদে উপনির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা একজন বেড়ে দাঁড়ালো ৬ জন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) থেকে শাহিন খান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) থেকে ববি হাজ্জাজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নর্থ সাউথ প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ৩৬ সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩০৯ জন। দুই সিটিতে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিল পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৭০ জন। এর মধ্যে, ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৬০ জন, সমসংখ্যাক ওয়ার্ডে ডিএসসিসিতে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৯ জন। অন্যদিকে ডিএনসিসি‘র ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৫ জন এবং ডিএসসিসিতে ২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়র আনিসুর হক লন্ডনে মারা যান। এতে করে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে দুই সিটিতে ২০১৭ সালে ১৮টি করে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়। মেয়র পদে শূন্য আসনে উপনির্বাচন ও ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন করতে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ইসি ডিএনসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি স্থগিতের আদেশ খারিজ করে দেন হাইকোর্ট বিভাগ।
এরপর গত ২২ জানুয়ারি ইসি নতুন তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি মেয়র ও দুই সিটির ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।