সময় এখন ডেস্ক:
সমাধি থেকে এক সদ্যমৃত নবজাতকের লাশ তুলে তার গলা কেটে শ্মশানে নিয়ে পূজা দিয়েছে ৫ কিশোর। এই বীভৎস কাণ্ড দেখে স্থানীয়রা ওই কিশোরদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে। রাজধানীর শ্যামপুরে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হাতে আটক কিশোররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে- তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার আশায় এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিকে সমীর গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে ঠাঁটারিবাজার এলাকার এক হিন্দু দম্পতির পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু জন্মের মাত্র আধা ঘণ্টা পরই সেই অপূর্ণ শিশুটি হাসপাতালে মারা যায়। পরে ওই দিনই বেলা ৩টার দিকে পোস্তগোলা জাতীয় শ্মশানঘাটে তাকে দাফন করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বাকিটা জানা যায়, নবজাতককে দাফনেরর ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কিশোরদের দলটি। তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্মশানের আশে পাশে অবস্থান নিয়েছিল এমন একটি নবজাতকের লাশের আশায়। শিশুটিকে দাফন করতে দেখে দিনের বেলায় সুযোগ পাবে না জেনে তারা প্রস্তুতি নেয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ১৪-১৫ বছর বয়সের এই হিন্দু কিশোরদের দলটি দাফনকৃত ওই নবজাতকের লাশটি শ্মশান থেকে তুলে তাকে ছুরি চালিয়ে জবাই করে ওই শ্মশানে পূজা দেয়।
স্থানীয়রা কয়েকজন এই বীভৎস ঘটনাটি দেখে ফেলে। কয়েকজন মিলে তাদেরকে দ্রুত আটক করে শ্যামপুর থানায় সোপর্দ করে। ওই শ্মশানের মোহর পলাশ চক্রবর্তী বাদী হয়ে ৫ কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিকে সমীর আরও জানান, হিন্দু ধর্মে শিশুর লাশ দাফরন করা পর উত্তোলন করে তার গলা কেটে পূজা দেয়ার কোনো রীতি নেই।
শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ৫ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আধ্যাত্মিক শক্তি লাভের আশায় কিশোররা এমন বীভৎস কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।