সময় এখন ডেস্ক:
মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৯ বছরের শিশু আরবি পড়তে গিয়ে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকের লালসার শিকার হয়। নগ্ন ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২) নামে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমাম। ঘটনা প্রকাশের পর পলাতক সেই ধর্ষককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১।
ধর্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন আশুলিয়া দোসাইদস্থ তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আশুলিয়ার ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষণ বিষয়ে এমন তথ্য দেন র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ক্লাস শেষ হলে শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন ভুক্তভোগীকে তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ঘর ঝাড়ু দিতে বলে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা চলে গেলে শিক্ষক তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় সেই দৃশ্য মোবাইলেও ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয় ওই শিক্ষক। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া দুইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। মামুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া।
* ছবি কৃতজ্ঞতা: চ্যানেল ২৪