বাগেরহাট সংবাদদাতা:
বাগেরহাটে স্বাক্ষর জাল করে অর্থ তছরুপের অভিযোগে বাগেরহাট শহরের জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা রানী মণ্ডলকে করাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার বাগেরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার অপর আসামি ওই বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত শিক্ষক করণিক উজ্জল কুমার পাল পলাতক রয়েছেন।
জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা রানী মণ্ডল ও করণিক উজ্জল কুমার পাল পরিকল্পিতভাবে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মামলার ১নং সাক্ষী তালুকদার আব্দুল বাকীর স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের সাধারণ তহবিলের জনতা ব্যাংক লিমিটেড রেল রোড বাগেরহাট শাখা থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক ও মামলার ২নং সাক্ষী আব্দুস সালাম আরিফ এবং ওই স্কুলের অভিভাবক সদস্য মামলার ৩নং সাক্ষী আশরাফ মল্লিকের স্বাক্ষর জাল করে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বাগেরহাট শাখার পিটিএ অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
দুদকের হটলাইন: অভিযোগ করুন সরাসরি (টোল ফ্রি)
দুদকের ৩ ডিজিটের হটলাইন সেবা চালুর ফলে বদলে গেছে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় যেখানে যখনই দুর্নীতির ঘটনা ঘটবে, সেখান থেকে তখনই অভিযোগ করা যাবে এমন সুবিধা নিয়ে কমিশনে চালু হয়েছে কল-সেন্টার বা হটলাইন। এই হটলাইনে চাইলেই দুর্নীতির শিকার যে কেউ মোবাইলে বা ফোনে অভিযোগ দিতে পারবেন। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অভিযোগকারী ওই নম্বরে যে কোনো অপারেটর থেকে সার্ভিস চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। একইসাথে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইনি পরামর্শ।
টোল ফ্রি হটলাইন ১০৬-তে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযোগ জানানো যাবে। এ জন্য কোনো খরচ করতে হবে না কাউকে।
তথ্যদাতার পরিচয় গোপন থাকবে
দুদক থেকে অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে জানানো হয়েছে- এখানে অভিযোগকারী যে কোন মোবাইল ফোন থেকে ১০৬ এ ফোন করে তার অভিযোগ জানাতে পারবেন। একাধিক ব্যক্তি একই সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে, অভিযোগকারী চাইলে তার বক্তব্য রেকর্ড করা যাবে।
হটলাইনের সুবিধা সম্পর্কে দুদক থেকে জানানো হয়েছে, জনগণের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন, দ্রুত দুর্নীতির তথ্য, প্রমাণ প্রাপ্তি, দুর্নীতির ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই অথবা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এমন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক প্রতিকার বা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। দুর্নীতির ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি এবং কমিশনের প্রতি জনআস্থা সৃষ্টি ইত্যাদি।
1