ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে চাষ করা গাঁজা গাছ জব্দ!

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ করছিলেন সাত্তার মিয়া। গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে গাঁজার গাছগুলো জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও আনসার বাহিনী। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সার্কেল অফিসের পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ভাদুঘরে পশ্চিমপাড়ার শুক্কুর আলীর ছেলে সাত্তার মিয়ার বাড়িতে ৩ বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাড়ির উঠানের পাশে বাগানে ও টবে চাষ করা সাড়ে ৩ ফুট উচ্চ ২টি গাঁজা গাছ পাওয়া যায়। গোপনে বাড়ির মালিক গাঁজা চাষ করে আসছিলেন। এ সময় অভিযানের বিষয়ে আঁচ করতে পেরে বাড়ির সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

তবে পলাতক আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান শরিফুল ইসলাম।

দক্ষ গাঁজাচাষীদের চাকরির সুযোগ- ১ লক্ষ ২৫ হাজার পদ

দীর্ঘ ৯৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর কানাডা সরকার সম্প্রতি চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দেশটিতে ব্যবসায়িকভাবে গাঁজা চাষের সম্প্রসারনের জন্য গ্রিনহাউসের মাধ্যমে গাঁজা চাষ করার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে নতুন এই খাতে উপযুক্ত কর্মীর চাহিদা। তবে, কর্মীর চাহিদা থাকলেও মিলছেনা গাঁজা চাষের উপযুক্ত কর্মী।

কানাডার একটি গাঁজা উৎপাদনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানি আফরিয়া ইনকর্পোরেটেড গ্রিনহাউসের মাধ্যমে গাঁজা উৎপাদন করে থাকে। তবে যথেষ্ট কর্মী না থাকার কারণে বিগত অর্থবছরে প্রায় ১৪ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করতে হয়েছিল কোম্পানিটিকে। দক্ষ কর্মীর এই সমস্যা কানাডার অনুমোদিত গাঁজা উৎপাদনকারী সবগুলো প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দেশটির সর্ববৃহৎ কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ কর্পোরেশনের ১ হাজার ২০০টি চাকরির পদ খালি পড়ে রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাঁজা চাষ করা প্রথম ৮টি বড় কোম্পানি প্রায় ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে নিয়োগ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় গাঁজা চাষের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অন্যদিকে, গাঁজা সেবন বৈধতা পাওয়ায় এই জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, উপযুক্ত কর্মীর অভাবে বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির সম্ভাবনাময় নতুন এই অর্থনৈতিক খাতটি।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!