সময় এখন ডেস্ক:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথের আন্দোলন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভন নয় বলে মন্তব্য করে দলের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী। আজ শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি বক্তব্য দেন।
এ সময় জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজপথে নামেন। ভ্যান, ট্রাক নিয়ে মিছিল করেন। শোডাউন দিন। রাস্তায় বসে মোনাজাত ধরেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভেতরে বসে হাতি ঘোড়া মারলে খালেদা জিয়ার মুুক্তি আসবে না।
মানববন্ধনে জাফরউল্লাহ বলেন, আগামীতে প্রত্যেক দিন মিছিল করেন। রাস্তায় থাকেন। ব্যারিস্টার মওদুদ, মোশাররফ হোসেন, আপনারাও রাস্তায় আসেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আজকে যদি চায়, আজ বিকালে এখানে ১ হাজার মহিলার জমায়েত হতে পারে। সবাই রাস্তায় বসে থাকেন। এরপরও কিছু না হলে রাস্তায় বসে খোদার কাছে মোনাজাত ধরেন। একদিন বিএনপি, আরেকদিন ছাত্রদল, তারপর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল- এভাবে টানা ১৭দিন মাঠে থাকেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি অবশ্যই হবে।
তারেক রহমানের সমালোচনা করে জাফারউল্রাহ বলেন, আপনি লন্ডনে বসে স্কাইপিতে কথা বলবেন ঠিক আছে। তবে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেন। তা না হলে ভুলভ্রান্তি হবে। আপনি ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। রিজভীর মাধ্যমে মিটিং না করে সিনিয়র নেতাদের ডাকেন। আপনি আরেকজন রিজভী হয়ে যাবেন না।
দ্রুত দলের পুনর্গঠন করে আন্দোলনে নামতে চান মওদুদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দলকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলেই আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করে আনতে পারব। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, তৃণমূল থেকে দল পুনর্গঠন কতে হবে। যারা খালেদা জিয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে তাদের ওপরে জায়গা দিতে হবে। দল পুনর্গঠন করতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।
তিনি বলেন, আমাদের একটি দাবিও মানা হয়নি। তারপরও নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কারণ মামলা খেয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আশা ছিল, ভোটে জিতলে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারব। কিন্ত কিছুই করতে পারিনি। আন্দোলন করতে সংগঠন লাগে। গত ১০ বছর অনেক কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।