চট্টগ্রাম ব্যুরো:
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় হুমকি ধমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি বলেছেন, কেউ হুমকি দিলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ করা হবে। আজ শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নগরের মাঝির ঘাট এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগের বাংলাদেশ এখন নেই। এটা একুশ শতকের বাংলাদেশ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্স ভেরি স্ট্রং। কেউ হুমকি দেবে, আমরা আমলে নেবো- এমন হবে না। যার সাহস আছে সে হুমকি দেয়? কে হুমকি দিচ্ছে? কী হুমকি দিচ্ছে? হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে? কেউ পার পাবে না।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন, শুরুটা করলাম- তারপর মনে হয় উচ্ছেদ কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। নো, এটা হবে না। আমি থাকতে কাজ বন্ধ করতে দেবো না। কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ কোনো স্থাপনা আমরা রাখবো না। তবে এখানে কিছু বিষয় আছে। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে একটা কোল্ড স্টোরেজ আছে। এতে ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার টন মাছ স্টকে রাখেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে কোনো কাজ করলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, এখানে আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। জনগণের জন্য কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে, একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। সবার সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি সম্ভব।
দেশের সব ভূমি অফিস সিসিটিভি’র আওতায় আনা হবে
সারাদেশের ভূমি অফিসগুলোকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে আমাদের দক্ষতা অনেক বেড়েছে, স্বচ্ছতাও অনেক বেড়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে যে দুর্নাম সেটি অনেকাংশে কমে এসেছে। ফিল্ড লেভেলে দুর্নীতি রোধ করা এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। ফিল্ড লেভেলে আমরা হাত দিচ্ছি, ফিল্ড লেভেলের দুর্নীতি বন্ধ করতে সারাদেশের ভূমি অফিসগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসবো।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কে আসলো, কে গেলো এটির জন্য সিসিটিভি বসাবো না। এর মাধ্যমে আসলে জবাবদিহিতা বাড়বে। একটি অ্যাপসের মাধ্যমে সারাদেশের ভূমি অফিসগুলোকে আমরা মনিটর করবো। এটির এক্সেস সবার কাছে থাকবে না। আমি, সচিব এদের কাছেই এই অ্যাপসের এক্সেস থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা কোনও প্রতিষ্ঠানকে সিসিটিভি’র আওতায় নিয়ে আসি, তখন ওই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়। তখন অটোমেটিক্যালি সচেতনতা তৈরি হয়ে যায়। তাই যখন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সারাদেশের ভূমি অফিসগুলো সিসিটিভি’র আওতায় চলে আসবে তখন উল্টাপাল্টা কিছু করা সুযোগ থাকবে না। সিসিটিভি’র পাশাপাশি যেন ভয়েস রেকর্ডিং থাকে আমি সেই ব্যবস্থাও করবো।’