প্রবাস ডেস্ক:
সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় বাংলাদেশে বেশ কিছু জেলায় ঘটে যাওয়া মন্দির ও পূজা মণ্ডপ ভাঙচুর, হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, লুটপাটসহ ন্যাক্কারজনক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন প্রবাসে অবস্থানকারী সকল ধর্ম মতের সচেতন বাংলাদেশি নাগরিকরা।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব ও বিধিনিষেধ মেনে সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রবাসীরা আজ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেভাবে উগ্র মুসলিম মৌলবাদীরা ইসকন মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পূজারিদের হত্যা এবং সংঘটিত বিভিন্ন ধরণের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হামলার প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
দেশে অবস্থানকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এহেন নির্যাতন নিপীড়ন অবিলম্বে যেন বন্ধ করা হয়, সেই দাবির পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানান প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আগতরা।
প্রতিটি হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ধর্ম বর্ণ মত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
সাউথ কোরিয়াস্থ হিন্দু কমিউনিটির আয়োজনে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রত্যেকটি হিন্দু সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দু কমিউনিটি, সাউথ কোরিয়ার পক্ষে গিরিজা প্রসাদ ভট্টাচার্য, অশোক দাস, উজ্জ্বল দাস, সঞ্জয় যাদব, মনোজ প্রভাকর, বাপ্পি চক্রবর্তী, প্রভাত দেবনাথ, এবং রজত কান্তি ঘোষ এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।
সব বক্তার মুখে একই বাণী উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তাদের একটাই চাওয়া- অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও সুন্দর পরিবেশ বিনির্মাণ। সেই সাথে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান আগতরা।
পরিশেষে দক্ষিণ কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
সৌজন্যে: ডেভিড ইকরাম।