অর্থনীতি ডেস্ক:
বাংলাদেশে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় জাপান। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হিরোয়াসু। এছাড়াও কৃষিপণ্যের মূল্যসংযোজন ও ইরিগেশনে, সোলার ইরিগেশনসহ ও প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
অতীতের মত বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে জাপানের সহযোগিতা থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিবিড় করেছে। জাপান শুধু বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুর্দিনে যেসব দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে জাপানের স্থান সবার ওপরে। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা দ্রুত উন্নয়নের পথ দেখাবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পোল্ট্রি শিল্প এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যদিও মূল্য যথেষ্ট পাচ্ছে না, আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রবেশেও সমস্যা রয়েছে। আমাদের দুধ, সবজি ও ফলেও উৎপাদন ভালো। কিন্তু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় বাজারে মূল্য পাচ্ছি না এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশেও সহজ হচ্ছে না। আমাদের ভুট্টা উৎপাদনও ভালো। তার পরেও পোল্ট্রি শিল্পের ভুট্টা আমাদানি করতে হয়, কারন আমাদের উৎপাদিত ভুট্টা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা না থাকায়। এক্ষেত্রে জাপানি সহযোগিতা চাই। জাপান আমাদের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ। জাপান বাংলাদেশের ১১তম বৃহত্তম রপ্তানী বাজার। জাপানে বাংলাদেশ থেকে আমদানীর পরিমাণ স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে মোট আমদানীর ২৬% এবং দেশগুলোর মধ্যে কেবল কম্বোডিয়ার তুলনায় এক্ষেত্রে ২য় অবস্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে জাপানের আমদানীকৃত পন্যগুলোর মধ্যে চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক এবং চিংড়ী অন্যতম। জাপান বাংলাদেশে বহির্বিশ্বের সরাসরি বিনিয়োগের ৪র্থ তম বৃহত্তম উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম সারিতে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মালেশিয়া। তাই, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী উৎস।
1