প্রতিরক্ষা ডেস্ক:
প্রথমবারের মতো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বোয়িং-৭৭৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশলীরা। এর ফলে প্রায় ৪ লাখ ডলার সাশ্রয় করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমানের দক্ষ প্রকৌশলীরা বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে বিমান হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে ২০ অক্টোবর ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু করে। বৃহস্পতিবার সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিমান প্রকৌশলীরা বোয়িং-৭৮৭-ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সি-চেক সম্পন্ন করেন।
তাহেরা খন্দকার বলেন, ল্যান্ডিং গিয়ার পরিবর্তন অত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। প্রতি ১০ বছর পর পর ল্যান্ডিং গিয়ার পরিবর্তন করে ওভারহল করা হয়।
বিমানের বহরে ৪টি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ রয়েছে। প্রথমটির ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হলো। এ বছর ডিসেম্বরে বিমানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন করা হবে।
বিমানের কর্মকর্তারা জানান, একটি উড়োজাহাজের অত্যাবশ্যকীয় রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হলো সি-চেক এবং ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন। এতদিন দেশে সি-চেকসহ অত্যাবশ্যকীয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলো করার সুযোগ ছিল না।
বিমানসহ দেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে সিঙ্গাপুরের প্রকৌশলীদের ওপর নির্ভর করতে হতো। দেশে এ সুযোগ তৈরি হওয়ায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমানের নিজস্ব স্থাপনা, ব্যবস্থাপনা ও জনবল দ্বারা কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করার ফলে আনুমানিক ৪ লাখ ডলার সাশ্রয় হয়েছে।
৪টি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন কাজ সম্পন্ন হলে বিমানের প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।
করোনায় আরও ৩ মৃত্যু
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৯৬ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১ জনের দেহে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৯০ জনের।
গত একদিনে মারা যাওয়া ৩ জনের মধ্যে একজন পুরুষ, বাকি ২ জন নারী। তাদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ১ ও পঞ্চাশোর্ধ্ব ২ জন। বিভাগওয়ারি হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে একজন করে মারা গেছে।
গত একদিনে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৮জন। সুস্থতার হার ৯৭.৭০ শতাংশ। দেশে এ নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৯০ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ইতোমধ্যে ৪টি জেলায় করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।