সময় এখন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্পদ ও সামর্থ্যের অপ্রতুলতায় বড় ধরনের সংকটগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রায়ই ভুল পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। সুতরাং উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আর্থিক সহায়তা জরুরি।
জার্মানি সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং ডব্লিউএইচও আয়োজিত ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস- ডব্লিউএইচও কেয়ার্স’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন, উন্নত প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া, অসহায় ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য। বিশ্ব জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্ব সংগঠন হিসেবে ডব্লিউএইচও সব দেশকে সম্পৃক্ত করতে পারে এবং সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন নিশ্চিতে আমাদের প্রধান মানবিক সংগঠন হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার সদস্য দেশগুলোসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সহযোগিতা এবং সম্পৃক্ততা ন্যায়সঙ্গতভাবেই প্রাপ্য।
এ সময় ইবোলা, কলেরা, যক্ষার মতো সংক্রামক রোগের মহামারী থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন এবং উন্নত করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি। সুতরাং এর ওপর আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নীতি নির্ধারণ এবং অর্থনৈতিক সহায়তাসহ ক্রমাগত আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্বাস্থ্য সেক্টরের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় ‘স্বল্প খরচে ভালো স্বাস্থ্য’ বাংলাদেশ এখন এই রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাতৃমৃত্যু হার প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে ১৭২ জনে নামিয়ে এনেছি। নবজাতক শিশু মৃত্যুহার ১ হাজার জনের মধ্যে ২৪ জনে নামিয়ে এনেছি। ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার ১ হাজার জনের মধ্যে ৩১ জনে নেমে এসেছে। ৮২.৩ শতাংশ সব ধরনের প্রতিষেধক টিকার আওতায় এসেছে। গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৮ বছরে দাঁড়িয়েছে।
এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সেক্টরে পাশে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএইচও প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকসহ জরুরি এলাকাগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের প্রশংসা করেন তিনি।
1