লালমনিরহাট সংবাদদাতা:
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় দুই ভাই মিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের পিত্তিফাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- জাহেদুল ইসলাম ও তার খালাতো ভাই আয়নাল হক। গ্রেফতার জাহেদুল ইসলাম উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের পিত্তিফাটা গ্রামের হোসেন ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের এক মুদি দোকানে গিয়ে কেনাকাটা সেরে ঘরে ফিরছিল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি। এ সময় প্রতিবেশী হোসেন ফকিরের ছেলে জাহেদুল ও তার খালাতো ভাই আয়নাল হক পথের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। মেয়েটিকে একা দেখে দুই ভাই ফন্দি আঁটে। প্রথমে ভুলিয়ে ভালিয়ে তাকে এক পাশে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় মেয়েটি দ্রুত ঘরে ফিরতে চেয়েছিল, তাই তাদেরকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে উদ্যত হয়।
শিকার ফসকে যাচ্ছে দেখে দুই ভাই তখন জোর খাটায়। মেয়েটির মুখ চেপে ধরে তারা রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং ধ্বস্তাধ্বস্তিতে শারীরিকভাবে আহত হয়ে মেয়েটি সেখানে পড়ে থাকে। তাকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায় জাহেদুল আর আয়নাল।
এদিকে গোঙানির আওয়াজ শুনে পথচারীররা মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওইদিন রাতে মেয়েটির মামা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় জাহেদুল ইসলাম ও আয়নাল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিন্দুর্না হাটখোলা বাজার থেকে জাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, গ্রেফতার জাহিদুলকে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।