স্টিভ জবসের হাতে তৈরি কম্পিউটার বিক্রি হলো নিলামে

0

অনলাইন ডেস্ক:

বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক। ৪৫ বছর আগে তাদের নিজের হাতে বানানো কম্পিউটার দিয়েই শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা।

সেই কম্পিউটারটিই উঠলো নিলামে। যা ৪ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই কম্পিউটারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত একটি নিলামে ওই কম্পিউটারটি বিক্রি হয়।

অ্যাপল তখনও প্রযুক্তি দুনিয়ায় নাম করে উঠতে পারেনি। স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক নিজের হাতেই অ্যাপল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

একদিক থেকে তাদের তৈরি সেই অ্যাপল-১ এখনকার ম্যাকবুকের জনক। এ রকম প্রায় ২০০টি কম্পিউটার সে সময় বানিয়েছিলেন তারা। তার মধ্যেই একটি উঠতে চলেছে নিলামে।

স্টিভের তৈরি বাকি কম্পিটারের থেকে এটি একটু বিশেষ। কোয়া কাঠের ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে ৪৫ বছরের পুরনো এই কম্পিউটারটি। এই কোয়া কাঠ খুবই মূল্যবান। কেবলমাত্র হাওয়াই দ্বীপে পাওয়া যায় এই কাঠ।

সেই কাঠের বাক্সের মধ্যে থাকা অ্যাপলের শুরুর দিনের এই কম্পিউটারের নিলাম নিয়ে ইতোমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

অব্যবহৃত মোবাইল ডেটা পরবর্তী প্যাকেজে যোগ হবে

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা প্রস্তুত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নির্দেশিকা বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডেটা ফেরত পাওয়ার পথ সহজ হবে।

নির্দেশিকায় মোবাাইল ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের একজন গ্রাহকের ডেটা প্যাকেজ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যোগ হবে। তবে গ্রাহককে ওই প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একই ডেটা প্যাকেজ কিনতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ হলেও অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে।

কোনো গ্রাহক ৩ দিন মেয়াদের ৩ জিবি’র কোনো প্যাকেজ কিনলে ৩ দিন দিন শেষ হওয়ার আগেই তাকে ৩ জিবি’র প্যাকেজ কিনতে হবে। সেটা ৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন- যেকোনো মেয়াদে হতে পারে। বর্তমানে একই মেয়াদের প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হয়।

মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র এক অনুষ্ঠনে ‘মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ নিয়ে এক উপস্থাপনায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে সংখ্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের সর্বোচ্চ ৩ ধরনের প্যাকেজ থাকবে। নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ।

একটি অপারেটরের নিয়মিত ও গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ মিলিয়ে সর্বোচ্চ প্যাকেজ সংখ্যা হবে ৮৫। তবে নিয়মিত অথবা গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির বেশি হতে পারবে না।

মোবাইল ফোন অপারেটরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করা যাবে। প্যাকেজের ভিন্নতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য হবে ১০০ মেগাবাইট ডেটা অথবা ১০ মিনিট টকটাইম অথবা উভয়ই।

বিটিআরসি জানায়, মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বিটিআরসির গণ শুনানিতে গ্রাহকদের আপত্তির পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভা হয়।

ওই সভার প্রস্তাব থেকেই ডেটা প্যাকেজ নিয়ে নির্দেশিকাটি তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!