স্পেশাল করেসপন্ডেন্স:
‘বদলে যাও, বদলে দাও’ স্লোগানে দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষদের মনে জায়গা করার চেষ্টা করেছেন প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান। মতিউর রহমান ঠিকই বদলে দিয়েছেন তার ও পরিবারের ভাগ্য। পত্রিকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিগত ১০ বছরে ৪২০ গুণ সম্পদ বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যের বরাতে খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
এদিকে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় গড়ে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার জন্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও সুপারিশ করেন তিনি।
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের খবরের বরাতে জানা যায়, বিগত ১০ বছরে মতিউর রহমানের সম্পদের পরিমাণ ৪২০ গুণ বেড়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, মতিউর রহমানের আয়কর বহির্ভূত সম্পদের ৭২ শতাংশ অর্থাৎ ৬ শত ৫৩ কোটি টাকা নিজ ও স্ত্রী মালেকা বেগমের নামে রয়েছে। পাশাপাশি ছেলে মাহমুদুর রহমান শাশার নামে ২ হাজার ১৬২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম আলোর নামে চাঁদাবাজি করে এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার বদৌলতে তিনি অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিশেষ করে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি ও মাহফুজ আনাম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতাদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ক্রমাগত সংবাদ প্রচার করতে থাকেন।
পরবর্তীতে অবশ্য মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম মিথ্যাচার ছড়ানো ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েও শ্রদ্ধার স্থানটি ফিরে পাননি। ইচ্ছেকৃত অপকর্ম করে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আবার ক্ষমা চাওয়া- মতিউর রহমানের পুরনো অভ্যাস।
প্রায়শ বিভিন্ন ধরণের বানোয়াট এবং রঙ মাখানো খবর তৈরি করে প্রথম আলো গোষ্ঠী। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের ছবিতে ফটোশপ করে কপালে সিঁদুর এঁকে হিন্দু ভোটার প্রমাণের চেষ্টা, রম্য ম্যাগাজিনে ইসলাম অবমাননাকর কার্টুন ছেপে বায়তুল মোকাররমের খতিবের কাছে গিয়ে মাফ চাওয়ার কথা অনেকেরই মনে আছে।
মনগড়া অতিরঞ্জিত খবর ছেপে প্রতিবাদের মুখে পিছু হঠে ভেতরের পাতায় অতি ক্ষুদ্র ফন্টে ক্ষমা চেয়ে সম্পাদকের বক্তব্য ছাপানোর কারণে মতিউর রহমানকে একটি লেখায় ‘তওবা সম্পাদক’ আখ্যা দিয়েছিলেন প্রখ্যাত কলামিস্ট এবং রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। এছাড়াও মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনামকে অনেকেই বিদেশি অপশক্তির চর হিসেবেই চেনে।
মতিউর রহমান শুধু গণমাধ্যমকে জিম্মি করে রাখেননি, বরং তার কুপুত্র শাশা বিজ্ঞাপনী সংস্থা গঠন করে প্রথম আলোর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক কাজ আদায় করে থাকে। এর আগেও এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দিয়ে বড় মাপের কাজ করিয়ে শেষ পর্যন্ত কার্যাদেশ বাতিল করে শাশা, কাজের বাবদ বিপুল অংক ক্ষতিপূরণও দেয়নি। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা এক পর্যায়ে অসুস্থ ও নিঃস্ব হয়ে শয্যাশায়ী হন।
শাশা শুধু চাঁদাবাজই নন, মাদকে চরম আসক্ত। এ নিয়ে বাবা বরাবরই বিব্রত হন, এমন খবর ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিশদভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ছেলের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে মতিউর রহমান কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলে মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে।
মতিউর রহমানের পাহাড়সম সম্পদ ও যোগ্যতার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এই তো সেদিন আজকের কাগজ পত্রিকায় মতিউর রহমান আমার সাব-অর্ডিনেট হিসেবে কাজ করতো। তখন তো সে একপাতা সংবাদ লিখতে কলম ভেঙে ফেলত। আজকে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক হয়ে বড় বড় কথা বলে মতিউর রহমান। একটা পত্রিকার সম্পাদক কয় টাকা বেতন পায়! মতিউর রহমানের ঠাট-বাটে মনে হয় তার কোটি টাকা বেতন।
আসলে মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম বিদেশি শক্তির এজেন্ট। তারা দুজন সিআইএ’র ফ্রন্টম্যান হিসেবে কাজ করে। জানতে পেরেছি, গত ১০ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছে মতিউর রহমান। ভাবতেই অবাক লাগে একজন সম্পাদক কীভাবে স্ত্রী-পুত্রের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলে।
আমি যতদূর জানি, মতিউর প্রথম আলোর নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে। কর ফাঁকি দেয়া এবং মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সূত্র: আজকের টাঙ্গাইল, ২০১৮ সালে প্রকাশিত।