স্পোর্টস ডেস্ক:
ইরানের নারী ফুটবল দলে পুরুষ খেলোয়াড় রয়েছে বলে গুরুতর একটি অভিযোগ তুলেছে জর্ডান নারী ফুটবল টিম কর্তৃপক্ষ।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে এএফসি অঞ্চলের এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইয়ে ইরানের কাছে ৪-২ গোলে হারের পর মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এই অভিযোগ তুলে জর্ডান।
উজবেকিস্তানের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দু’দলের মধ্যকার এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মূল ম্যাচ গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায় ম্যাচ।
যেখানে জর্ডানের দুটি কঠিন শট ফিরিয়ে দেন ইরানের গোলরক্ষক জোহরেহ কৌদেই। তাকেই পুরুষ বলে দাবি করছে জর্ডান।
এ বিষয়ে এএফসির কাছে জোহরেহর লিঙ্গ নির্ণয়ের জন্য তদন্তেরও দাবি করেছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জর্ডান ফুটবল দলের এক নারী খেলোয়াড় জানান, জোহরেহ কৌদেই এর শারীরিক গঠন দেখে তাতে নারীসুলভ অনেক কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তার ব্যাপারে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।
জর্ডান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স আলি বিন আল হোসেন এক টুইটে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা বলেন। বিষয়টিকে তিনি খুবই সিরিয়াস ইস্যু হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সে কারণেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ফিফাকে অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আলি এর আগে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
পাল্টা জবাবে ইরান দলের নির্বাচক মারিয়াম ইরান্দোস্ত এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার মতে, হারের ক্ষত ঢাকতেই নাকি এমন আলোচনা সামনে নিয়ে এসেছে জর্ডান।
জর্ডানের বিপক্ষে ওই জয়ের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের টিকিট পেয়েছে ইরান। আর তাতে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ৩২ বছর বয়সি গোলরক্ষক কৌদেই।
এএফসির এক সূত্রমতে, সংস্থাটি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। চলমান এই অবস্থায় তারা এটি নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চায় না।
শুধু এবারই না, কৌদেইর বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনোবারই এবারের মতো আলোচনা এত গাঢ় হয়নি।