ভারতীয় ভেবে নিজেদের বিমান চালককে পিটিয়ে মারল পাকিস্থান!

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নিজ দেশে নিজেদের জনতার হাতেই গণপিটুনি খেয়ে মরতে হল পাকিস্থানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের চালককে। শাহাজউদ্দিন নামে পাক উইং কমান্ডারকে ভুলবশত ভারতীয় ভেবে বসেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নৌসেরার সাধারণ মানুষ। এরপর কোনও কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই শাহাজউদ্দিনকে বেধড়ক মারতে থাকেন তারা।

যতক্ষণে ভুল ভাঙে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি শাহাজউদ্দিনকে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার জবাবে বুধবার পাল্টা হামলা চালিয়েছিল পাকিস্থান। ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করেও ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাল্টা প্রত্যাঘাতের ফলে দেশে ফিরছিল পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো। এরই একটি বিমানের ককপিটে ছিলেন শাহাজউদ্দিন। সেই সময় মিগ-২১ বাইসন-এ ওই পাক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেন ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শাহাজউদ্দিনের যুদ্ধবিমানটিকে ধ্বংস করে ফেলার পর পাল্টা গুলিতে ধ্বংস হয়ে যায় অভিনন্দনের মিগ যুদ্ধবিমানটিও। অভিনন্দনও ধরা পড়েন পাক সেনার হাতে। অন্যদিকে শাহাজউদ্দিনও প্যারাশুটে করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নৌসেরার একটি গ্রামে নামেন। কিন্তু স্থানীয়রা তাকে ভারতীয় বলে মনে করে প্রচণ্ড মারমুখী হয়ে পড়েন। গণপিটুনিতে আহত হন শাহাজউদ্দিন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি।

যদিও পাকিস্থান সরকার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অভিনন্দনের মতো শাহাজউদ্দিনও সেনা পরিবারের সন্তান। তার বাবা ওয়াসিমউদ্দিন পাক বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল ছিলেন। তিনিও এফ-১৬ এবং মিরাজের মতো যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন। কিন্তু এক সন্তান যখন শত্রু দেশের হাতে পড়েও নিজের দেশে ফিরতে পারলেন, সেখানে আরেক পরিবারের সন্তান নিজের দেশেই নিজেদের লোকের হাতে গণপিটুনিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।‌

সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলো ভারত

সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদে অর্থায়ন, প্রত্যক্ষ সহযোোগিতা এবং বিস্তার ঘটনাোর অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ করা হল জামায়াতে ইসলামী, জম্মু ও কাশ্মীর সংগঠনকে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই উপত্যকার জামায়াতে ইসলামী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়েছে।

যে সকল কারণে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে এত বড় নির্দেশ কার্যকর করা হল তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, সংগঠনের সদস্যদের অনৈতিক কাজকর্ম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী নানাবিধ অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যা দেশ এবং সমাজের পরিপন্থী। সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদে অর্থায়ন, প্রত্যক্ষ সহযোোগিতা এবং বিস্তার ঘটনাোতে সংগঠনটি সরাসরি সম্পৃক্ত।

শেয়ার করুন !
  • 11
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!