আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে ভয়াভয় সন্ত্রাসী হামলায় কানাডার নিহত নাগরিকদের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এরপর এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, এই পৃথিবীতে ইসলামবিদ্বেষ ও ঘৃণার কোনো স্থান নেই।
স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন জাস্টিন ট্রুডো এই পৃথিবীতে ইসলামবিদ্বেষ ও ঘৃণার কোনো স্থান নেই- উল্লেখ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, এর প্রভাব খুবই ভয়াবহ।
কানাডার অন্টারিওর অটোয়ার দক্ষিণ নিপেন মুসলিম কমিউনিটি মসজিদে তিনি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বক্তব্য শোনেন এবং কীভাবে নিরাপদ ও সমন্বিত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন ট্রুডো। নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রুডো লেখেন, ‘প্রার্থনার সময় মানুষকে আক্রমণ করা অত্যন্ত বেদনার এবং নিউজিল্যান্ডে আজ যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তার কঠোর নিন্দা করছে কানাডা। হতাহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্ব মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতোই আমরা আজ শোকাহত।’
জুমার নামাজের পর ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে চালানো ভয়াবহ এই হামলায় শেষ খবর পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। গণহত্যা চালানোর আগে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী অনলাইনে একটি পোস্ট করে জানায়, সে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। দখলদারদের (অভিবাসী) ওপর প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা করেছে। অবশ্য তাকে এবং আরও ৩ জনকে আটক করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে বেশ ক’জন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এই হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে আজ শোক ও নিন্দা জানান জাস্টিন ট্রুডো। হামলায় অল্পের জন্য বাংলাদেশে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তিও প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় দুই প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
2
