ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
একদিন দুদিন নয়, বহুবার তার বিরুদ্ধে উঠেছে মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের সাথে অনৈতিক কর্ম করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এমনকি অনেক অভিভাবকও উল্টো বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
কেউ কেউ সমাজ এবং লোকলজ্জার কারণে নিজেদের শিশুদেরকে হুজুরের বিরুদ্ধে কথা না বলারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনটাই জানা গেল সেই শিক্ষকের ওপর এক ছাত্রের চরম প্রতিশোধের ঘটনা সামনে আসায়।
ঘটনাস্থল ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়ন। লিঙ্গ হারানো সেই শিক্ষকের নাম মাওলানা মো. আতাবুর রহমান।
জানা যায়, অনৈতিক কর্মে রাজি না হওয়ায় এবং বারবার বাধা দেওয়ার পরেও তা না মানায় সেই লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষকের লিঙ্গ কেটে দিয়েছে এক ছাত্র। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষককে ময়মনসিংহ জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সাথে পুলিশ ওই ছাত্রকেও আটক করেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের টাওয়াইল গ্রামে অবস্থিত এক মাদ্রাসার মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। ওই মাহফিলে অংশ নেন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. আতাবুর রহমান। মাহফিল চলার সময় রাতের খাবারের জন্য পূর্বপরিচিত ছাত্রকে নিজের সাথে বাড়িতে ডাকেন আতাবুর।
দাওয়াত রক্ষার জন্য ওই ছাত্র তার শিক্ষকের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিল। পথে মাওলানা আতাবুর ওই ছাত্রের শরীরে অযাচিত স্পর্শ করেন। পরে এক পর্যায়ে মাওলানা আতাবুর ছাত্রের সাথে অনৈতিক কর্ম করতে উদ্যত হন।
অবস্থা বেগতিক দেখে ওই ছাত্র তাকে বাধা দেয়। এদিকে বাধা সত্ত্বেও রাস্তার একপাশে জাপটে ধরে অনৈতিক কর্ম শুরু করলে পকেটে থাকা নেইলকাটার বের করে শিক্ষকের লিঙ্গে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায় সে।
মাওলানা আতাবুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা পরে এদিক সেদিক খুঁজে ওই ছাত্রকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক। ওই ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্ম করতে গিয়েই এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবলু রহমান খান।