অনলাইন ডেস্ক:
‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বাবু ভাজা বাদাম’…। ‘কাঁচা বাদাম’ শিরোনামে ভাইরাল হওয়া এই গানের সুবাদে ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছে ভারতের বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর।
সারা বিশ্বের কয়েক মিলিয়ন মানুষ ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন ভুবন বাদ্যকরের এই গান। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাদ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায় পাশে বাইক দাঁড় করিয়ে হাতে সিটি গোল্ডের চেন, চুড়ি, হাতের বালা, মোবাইল ভাঙা এসবের বিনিময়ে বাদাম বিক্রি করার গান গাইছেন।
তার নিজের লেখা, সুর ও গাওয়া আলোচিত গানটির স্বত্ব অন্যদের নামে ‘সংরক্ষিত’ হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এ শিল্পী। শুক্রবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, ইউটিউবে তার গানের স্বত্ব সংরক্ষিত হিসাবে দেখাচ্ছে। অথচ তার নিজস্ব কোনো অ্যাকাউন্ট নেই ইউটিউবে। তার গানকে পুঁজি করে পকেট ভরছে অন্যরা, অথচ তার কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না।
সপ্তাহখানেক ধরেই গানটি ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবে শেয়ার করে বড় অংকের অর্থ উপার্জন করছেন অনেকেই। অথচ গানের স্রষ্টা ভুবন কোনো অর্থ পাননি। শিল্পী হিসেবে তার নামটাও অনেকে উল্লেখ করছেন না।
তাই বাধ্য হয়ে নিজের নামে গানের স্বত্ব বুঝে পেতে এবং গান থেকে উপার্জিত প্রাপ্য অর্থ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ শিল্পী।
ভুবন বলেন, গানটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রচুর মানুষ বাড়িতে ভিড় করছেন। সবাই আমার গান ভিডিও করতে চান। আর সেই গান ইন্টারনেটে ছেড়ে অনেক টাকা আয়ও করছেন। অথচ আমার হাত খালি।
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুবন পেশায় বাদাম বিক্রেতা। বাদাম বিক্রি করতেই গানটি রচনা করেছিলেন তিনি। আর গানটি জনপ্রিয় হওয়ায় খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি। রাস্তায় বেরোলেই অনেকেই ছুটে এসে ছবি তোলার আবদার করছেন।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য থানায় যাওয়ার সময় মাথায় হেলমেট পরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি, যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। তার ধারণা, কেউ চিনতে পারলে কিডন্যাপ করে তাকে নিয়ে যায় যদি!
তাই হেলমেট পরে থানায় গিয়েছিলেন। থানায় গিয়ে তার দাবী, পুলিশ তদন্ত করে তার প্রাপ্যটুকু তাকে দিক। তার বাদাম সঙ্গীতের স্বত্ব যেন তিনি বুঝে পান।
এক ঝলক: