রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহীর একটি বাড়ির অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা জাল টাকা তৈরির এক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসল ১০ হাজার টাকায় ১ লাখ জাল টাকা বিক্রি করত এই চক্রটি। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল কাটাখালি থানার দেওয়ানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ লাখ ১২ হাজার জাল টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কাটাখালি থানার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার বাসিন্দা জনি হাসান (২৪), একই এলাকার জনি আলী (২২), গোদাগাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইনসান মিয়া (২২) ও পবা উপজেলার হরিয়ান পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুমন রানা (২৪)।
নগর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে পুলিশের উপকমিশনার আবু আহাম্মদ আল-মামুন এসব তথ্য জানান। এ সময় জাল টাকাসহ তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এরপর দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আল-মামুন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ লাখ ১২ হাজার জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় তারা নোটগুলো বিক্রির জন্য একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের সবার কাছেই জাল নোট পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমনের দোতলা বাড়ির নিচতলা থেকে জাল নোট তৈরির প্রিন্টার ও কাগজসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের উপকমিশনার জানান, গ্রেপ্তার সুমন রানা রাজশাহী কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। অন্য ৩ জন স্বল্প শিক্ষিত। গ্রাফিক্সে পারদর্শী সুমন জাল নোট তৈরি করতেন। জনি হাসান ও জনি আলী বিভিন্ন স্থানে জাল নোট বিক্রি করতেন। আর ইনসান মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী। তিনি জাল নোট দিয়ে মাদক কিনে প্রতারণা করতেন। ইতিপূর্বে ইনসান মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে পবা উপজেলার দামকুড়া বাজারে ইনসানের মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকান আছে। মেকানিকের কাজের আড়ালে এসব অপকর্ম করতেন তিনি।
মামুন আরও জানান, ইতিপূর্বে তারা প্রায় ৭ লাখ জাল টাকা বিক্রি করেছেন। তারা যাদের কাছে এসব নোট বিক্রি করেছেন তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর গ্রেপ্তার ৪ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
1