প্রবাস ডেস্ক:
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপকে জামায়াত-বিএনপি’র ইন্ধন হিসেবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই। এ অবস্থার প্রতিকারে ব্যাপকভাবে পাল্টা লবিং চালানোর তাগিদ তাদের।
১৯৮৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনদের ইন্তিফাদা আন্দোলনকারীদের এভাবে পাখির মত গুলি করে মারার ঘটনা এখনও চলমান। তবে এজন্য কোন ইসরায়েলি কর্মকর্তার ওপর কখনও কোনো মার্কিন সংস্থা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।
কারণ কথিত এই নিষেধাজ্ঞাকে মার্কিন প্রশাসন বরাবরই ব্যবহার করেছে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। আর তাছাড়া মার্কিন বেশিরভাগ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় মাল্টি বিলিয়ন ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মালিকানা ইসরায়েলি ব্যবসায়ীদের হাতে। তাই মার্কিনিরা ইসরায়েল ইস্যুতে সবসময় নীরবতা পালন করে।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার জন্য ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই মোদিকেই মার্কিন মুল্লুকে আমন্ত্রণ জানাতে একদিনও দেরি করেনি ওয়াশিংটন প্রশাসন।
কারণ গোটা কর্মকাণ্ডই ছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ মনে করেন র্যাবের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এ রকমই একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড। আর এজন্য তারা প্রবাসে জামায়াত-বিএনপির পক্ষে বিপুল অর্থায়নে নিয়োগ দেওয়া লবিস্ট ফার্মগুলোকেই দায়ী করছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস প্রেসক্লাবের সভাপতি মশফুরুল হুদা বলেন, বাইডেন প্রশাসনের উচ্চপদে যেসব বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের অনেক সখ্যতা রয়েছে। তাদের দ্বারা বাংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্কে ভাটা পড়ছে। সম্পর্ক নষ্ট করার প্রচেষ্টা চলছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাংলাদেশি আমেরিকান রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট কাজী মোশারফ হোসেন বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কান ভারী করছে। লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ করছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথিত অভিযোগ তুলে এর সাবেক ডিজি ও বর্তমানে পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদসহ ৬ কর্মকর্তার নামে নানা বিধি-নিষেধের কথা শুক্রবার ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন।