মুখে প্যান্টি পরা যাত্রীকে নিষিদ্ধ করল বিমান সংস্থা

0

অনলাইন ডেস্ক:

ফেস-মাস্ক নয়। নাক-মুখ সাঁটা টকটকে লাল রঙের প্যান্টি দিয়ে। এভাবেই নারীদের একটি অন্তর্বাস মাস্কের মতো মুখে সেঁটে বিমান ভ্রমণ করছিলেন এক যাত্রী। আর তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। তার কীর্তি রীতিমতো ভাইরাল।

এমনই আজব এক যাত্রীর দেখা মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৩৮ বছরের অ্যাডাম জেন মাস্কের বদলে নারীদের অন্তর্বাস মুখে পরে বিমানে উঠে পড়েন। মাস্কের বদলে নাক-মুখে নারীদের অন্তর্বাস পরে থাকতে দেখে চোখ কপালে উঠেছিল অন্য যাত্রীদের। রীতিমত অস্বস্তিবোধ করেন আশপাশের যাত্রীরা। কেউ কেউ সরাসরি সমালোচনাও করেন।

এমন অদ্ভুত কাণ্ড দেখে ছুটে এসে ধমক দেন বিমান কর্মীরা। তবে কোনো ঝামেলার মধ্যে যাননি অ্যাডাম। অন্তর্বাসও খুলেননি মুখ থেকে। তবে বিমান থেকে নেমে পড়তে হয় তাকে।

অ্যাডাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিমানে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা নিয়ে খুব কড়াকড়ি করা হচ্ছে। খাওয়ার সময়টুকু বাদ দিলে সবসময় মাস্কে নাক-মুখ ঢেকে রাখা খুবই অস্বস্তিজনক। এর প্রতিবাদ করতেই তিনি মাস্কের বদলে অন্তর্বাস পরে বিমানে উঠেছিলেন।

অ্যাডামের দাবি, এর আগেও অন্তত ১২ বার এইভাবেই সফর করেছেন তিনি। কিন্তু কখনও তাকে বাধা দেওয়া হয়নি। কোভিডের নিয়ম মানতে হবে তা ঠিক, তবে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি তার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই অন্তর্বাস মুখে সেঁটে তিনিও অযৌক্তিক আচরণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তার এসব বক্তব্য আমলেই নেননি বিমান সংস্থা। অন্য যাত্রীরা অস্বস্তিবোধ করেন, এমন কোনো উটকো আচরণ প্রশ্রয় দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই বিমানে ওঠা আপাতত নিষিদ্ধ হলো অ্যাডামের জন্য।

তবে তার প্রতিবাদ জানানোর অভিনব কায়দাকে সমর্থন করেছেন অনেকেই।

ইউরোপে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওমিক্রন এখন ইউরোপে ‘বিদ্যুৎ গতিতে’ ছড়িয়ে পড়ছে এবং সামনের বছরের শুরুতে ফ্রান্সে এটাই হবে করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ধরণ। এরইমধ্যে ফরাসি কর্তৃপক্ষ ফ্রান্সে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। খবর বিবিসির।

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের অন্তত ৮৯টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে এবং মাত্র ৩ দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ওমিক্রন বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শদাতা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মুখে পড়বে।

ইউরোপে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যুক্তরাজ্যে। শুক্রবার সেখানে ১৫ হাজার ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে পরীক্ষায়।

ইউরোপজুড়ে এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। জার্মানি, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইউরোপে ৮ কোটি ৯০ লাখ কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কোভিড সংক্রান্ত কারণে মারা গেছে।

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, তাদের দেশকে এখন এমন এক পরিস্থিতির জন্য তৈরি হতে হবে, যা এখনো পর্যন্ত এভাবে তারা দেখেননি। জার্মানি এরইমধ্যে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং ডেনমার্ককে ‘উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন’ বলে ঘোষণা করেছে। শনিবার জার্মানিতে ৪২ হাজার সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।

আয়ারল্যান্ডের সরকারও জানিয়েছে, সেখানে মোট কোভিড সংক্রমণের এক তৃতীয়াংশ এখন ঘটছে ওমিক্রনের কারণে।

যুক্তরাজ্য থেকে যারা ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কাজে ফ্রান্সে যাতায়ত করেন, তাদের জন্য ফ্রান্স শুক্রবার রাত থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ডোভার পোর্ট এবং ইউরোস্টার টার্মিনালে এর ফলে মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য।

শুধু ফ্রান্স নয়, এর আগে ইতালি, গ্রিস এবং পর্তুগালও ঘোষণা করেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশ থেকে তাদের দেশে ঢুকতে হলে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল থাকতে হবে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!