অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকেই। কেউ হারে, কেউ জেতে। পরাজয়ের ভয়ে তো নির্বাচন থেকে দূরে থাকা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ভারতের গুজরাটের এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটল দুঃখজনক ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে জানা যায়, জনপ্রতিনিধি হবেন ভেবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন গুজরাটের বাপি জেলার সন্তোষ। লক্ষ্য ছিল চারওয়ালা গ্রামের পঞ্চায়েত সভাপতি হওয়ার।
কিন্তু নির্বাচনি ফলাফল এতই অপ্রত্যাশিত ছিল যে তিনি ভোট গণনাকেন্দ্রের সামনেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
কারণ ১০০ বা ২০০ ভোট নয়; তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১টি। অথচ তার পরিবারেরই ১২ জন ভোটার রয়েছেন। কেউই তাকে ভোট দেননি।
গ্রামবাসী ও তার বন্ধুবান্ধব না হোক, সন্তোষ ভেবেছিলেন তার পরিবারের সদস্যদের তিনি পাশে পাবেন।
ইন্ডিয়া টুডেকে সন্তোষ বলেন, গ্রামবাসী তাকে ভোট দেননি। তিনি তাতে মনে কষ্ট পাননি। কিন্তু তিনি নিশ্চিত ছিলেন তার পরিবারের সবাই তাকে ভোট দিবেন।
পরিবারের ১২ সদস্যের কেউই তাকে ভোট দেননি। এই ঘটনা তার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।
মঙ্গলবার গুজরাটের রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৬ হাজার ৪৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে। ফল যখন বেরোয় তখন সন্তোষ দেখেন, মাত্র ১টি ভোট পেয়েছেন এবং সেটা নিজেই দিয়েছেন।
ভোটের ফল জানার পরই গণনাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ভারতীয় সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই বুধবার, ভারতীয় সংসদের উভয় সদনের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কার্যসূচি অনুযায়ী ২৯ শে নভেম্বর শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশন বৃহস্পতিবার স্থগিত ঘোষণা করার কথা ছিল।
পূর্ববর্তী বর্ষা অধিবেশনের সময় অ-সংসদীয় আচরণের কারণে ১২ জন এমপিকে বরখাস্ত করা নিয়ে রাজ্যসভায় বিরোধী দল এবং সরকারের মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
সাসপেন্ড করা সাংসদরা প্রতিদিন সংসদ কমপ্লেক্সে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান, বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খারগে এবং অন্যান্য সাংসদের সমর্থনে।
অন্যদিকে, লোকসভাতেও নানা ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা উভয়েই বিরোধীদের ক্রমাগত প্রতিবাদের মধ্যে অধিবেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বুধবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাজ্যসভা তার সম্ভাবনার অনেক কম কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের এই অধিবেশনটি কীভাবে আলাদা এবং আরও ভাল হতে পারত তা আত্মবিশ্লেষণ করার এবং প্রতিফলিত করার জন্য অনুরোধ করছি।
আমি অধিবেশনের কার্যবিবরণী সম্পর্কে বিশদভাবে কথা বলতে চাই না কারণ তা আমাকে কঠোর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পরিচালিত করবে।