ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার অন্তর্গত রাজাপুর ইউনিয়নের কোরেশমুন্সি এলাকার এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের দায়ে মাওলানা শহিদুর রহমান নামে এক মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)- কে আটক করেছে পুলিশ।
মাওলানা শহিদুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার উত্তর জয়নগর গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে।
গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে দারুল কোরআন ওয়াস ছুন্নাহ্ নামক কওমী মাদ্রাসার ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা শহিদুর রহমান প্রতিদিনই কোনো না কোনো ছাত্রকে রাতে নিজ কক্ষে ওস্তাদের খেদমত (সেবা) করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে তার হাতে পায়ে তেল মেখে মালিশ করায় তাদের দিয়ে, শরীর ম্যাসাজ করায়। আর ছাত্রদের সাথে অনৈতিক কাজ (বলাৎকার করে)। যাদের অধিকাংশই লজ্জার কারনে কাউকে জানায় না। অনেকে বারবার নিগৃহীত হওয়ার কারনে মাদ্রাসা ত্যাগ করে চলে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে একইভাবে বলাৎকারের শিকার শিশুটিকে নিজ কক্ষে নিয়ে যায় মাওলানা শহিদুর রহমান। সেখানে এক পর্যায়ে তার দ্বারা বলাৎকারের শিকার হয় ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কোমলমতি আবাসিক ছাত্রটি। ব্যাথায় কাৎরাতে কাৎরাতে সারারাত ঘুমাতে পারেনি আর। সকালে তার এক সহপাঠীর মাধ্যমে অভিভাবকরা অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে অভিভাবকদের সবিস্তারে এসব জানিয়ে দেয় শিশুটি। পরে তার বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ্ আহম্মদ পাঠান জানান, পুলিশ মাদ্রাসাটির মুহতামিম অভিযুক্ত মাওলানা শহিদুর রহমানকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া।