সময় এখন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ৩ দিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের বলেন, আপনারা জেলা প্রশাসকবৃন্দ কাজ করেন মাঠ পর্যায়ে এবং প্রত্যেকটি জেলার দায়িত্ব আপনাদের।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণ এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের যে ব্যাপক পল্লী উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছি, সেগুলোকে আমরা সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের তৃণমূলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে।
এসময় সব ধরনের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আগের মতো সজাগ ও সচেতন থেকে ডিসিদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে বিধি-নিষেধ মানাতে ডিসিকে নির্দেশ দিতে হবে। পাশাপাশি ওমিক্রন প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি। গত ১৩ বছরে সব সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে কাজ করছি এবং সামনের লক্ষ্য ২০৪১ বাস্তবায়ন করা। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। দেশের মানুষ দারিদ্র ও গৃহহীন থাকবে না। দক্ষ ও সেবামুখী প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজীবন বাংলাদেশের অলিখিত রাষ্ট্রদূত থাকব: মিলার
স্বেচ্ছায় আন-অফিশিয়ালি আজীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাবেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার।
সোমবার এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতি এই ভালোবাসার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মিলার। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে মিলার ‘সম্ভব হলে আবারও রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসার’ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, সরকারি চাকরি থেকে অবসরে চলে যাওয়ায় তা আর সম্ভব নয়।
তবে দ্বিতীয়বার এ দেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও আন-অফিশিয়ালি (অলিখিতভাবে) এ দেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে সারাজীবন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে ৩ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে এ মাসেই ঢাকা ছাড়ছেন আর্ল মিলার। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে শুরু করেছেন তিনি।