আইন আদালত ডেস্ক:
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হ-ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এ সময়ে আদালতের করা প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্নি। পরে শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মিন্নির রিমান্ড শুনানিতে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় গত ১৪ জুলাই আদালতে মিন্নি এ হ-ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকা-রোক্তিমূলক জবানব-ন্দি দিয়েছেন।
এ সময় তিনি টিকটক হৃদয়ের স্বীকা-রোক্তিমূলক সেই জবানব-ন্দি আদালতে তুলে ধরেন। এছাড়াও হ-ত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে মিন্নির কথোপকথনের প্রামাণাদি আদালতে তুলে ধরার পাশাপাশি মিন্নিকে জিজ্ঞা-সাবাদে রিফাত হ-ত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে বলেও আদালতে অবহিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস। অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মিন্নির শুনানির সময় আদালতে রিফাত হ-ত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সঙ্গে কথা বলেন- আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কি না?
আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হ-ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হ-ত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এছাড়াও সঞ্জীব দাস আরও বলেন, আদালত রিফাত হ-ত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে হ-ত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং আদালতের এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
2