বিনোদন ডেস্ক:
ঢালিউডে বিরক্ত হয়ে এবার টালিউডে গিয়ে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিরো আলম।
মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করে হিরো আলম বলেন, আজ সকালেই কলকাতার একজন পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেখানে গিয়ে সিনেমা বানাব, আমি প্রযোজনা করব।
পরিচালক ও সিনেমার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই বলতে চাচ্ছি না। করোনা শেষ হলে সেখানে যাব, তারপর পরিচালক, নায়িকা, সিনেমার নাম সব জানাব।
এর আগে সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এক লাইভে হিরো আলম বলেন, কাল সারা রাত থেকে অনেক ভাবলাম, নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করলাম। অনেক কিছু বিষয়ে ভেবে দেখলাম, আমি আর এফডিসিতে যাব না, আর কোনো চলচ্চিত্রও নির্মাণ করব না।
৫টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, আর করব না। কারণ আমি দেখেছি, এই সুশীল সমাজের লোক আমাকে মেনে নেবে না। চলচ্চিত্রের লোকজন আমাকে কোনোদিন মেনে নেবে না।
সেই লাইভে হিরো আলম অভিযোগ করেন, পরিচালক শাহীন সুমন তাকে অপমান করেছেন। এরপরই মঙ্গলবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।
এছাড়া এদিন ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে হিরো আলম লেখেন, ‘দেশে নয়, এখন থেকে কলকাতায় কাজ করব।’
আমি এখনও মরিনি: মিয়া খলিফা
গত শনিবার হঠাৎ করেই চমকে ওঠেন অন্তর্জাল তারকা, ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ও প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার সাবেক তারকা মিয়া খলিফার ভক্তরা। এদিন তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি হুট করে রিমেম্বারিং প্রদর্শন করা হয়। যার অর্থ তিনি মারা গেছেন! এ দেখে চমকে ওঠেন মিয়া খলিফা নিজেই।
হঠাৎ এমন বার্তার পর মিয়ার ভক্তরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ফেসবুকে রিমেম্বারিং প্রদর্শনের পর ভক্তরা যে লেখাটি পড়েন, তা হলো— ‘আমরা আশা করি, যারা মিয়া খলিফাকে ভালোবাসেন, তারা জীবনকে স্মরণ করতে এবং উদযাপনে প্রোফাইল পরিদর্শন করে সান্ত্বনা পাবেন।’
পরে টুইটারে মিয়া খলিফা নিজেই ভক্তদের বিষয়টি পরিস্কার করেন। জানান, তিনি জীবিত ও সুস্থ আছেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া কমেডি সিনেমা ‘মন্টি পাইথন অ্যান্ড দ্য হলি গ্রেইল’-এর সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘আমি এখনও মরিনি! ভালো আছি’ যুক্ত করা মিমও শেয়ার করেন তিনি। তবে মিয়ার ফেসবুক পেজে ঠিক কী হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, মিয়া খলিফার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মাত্র ৩ মাস পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। আর এর মধ্যই শীর্ষ তারকা বনে যান এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। পরে এই দুনিয়া থেকে বিদায়ও নিয়েছেন তিনি। এখন তার উপলব্ধি, জীবনে এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যা ‘ক্ষমার অযোগ্য’।