কূটনৈতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ব সংস্থাটিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
মঙ্গলবার ইউএন পিস বিল্ডিং কমিশনের এক টুইটে বলা হয়, কমিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
বিদায়ী সভাপতি মিশরের স্থায়ী প্রতিনিধি ওসামা আবদুল খালেকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাবাব ফাতিমা। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের ২০২২ সালের ষোড়শ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা ফোরাম শান্তি পতিষ্ঠা কমিশন সংঘাতে জড়িত বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে থাকে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত ৩১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় এই কমিশন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ অর্থ সাহায্যদাতা এবং সৈন্য প্রেরণকারীদের মধ্যে শীর্ষ দেশগুলোও এর সদস্য।
বর্তমানে বিভিন্ন সৈন্য পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের সভাপতি ছিল বাংলাদেশ।
দায়িত্বগ্রহণের পর বক্তৃতায় রাবাব ফাতিমা বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে থাকবে দেশগুলোকে সহায়তার ক্ষেত্রে সময়মত সম্পৃক্ত হওয়া এবং পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদামত দৃষ্টিপাত করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের কাজের পরিধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় হবো।
বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে জোর লবিং চালানো হচ্ছে: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। বরং একটি পক্ষ চাইছে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে, এজন্য তারা লবিংও করছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় তহবিল সংগ্রহের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না এবং আমরা এখনও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছি।
নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির উপর আরোপ করা হয়েছিল, পুরো সংস্থার উপর নয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান কংগ্রেসম্যান মিকস।
কয়েকজন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং দেশের বাইরে থেকে জোরালো লবিং করা হচ্ছে বলে জানান মার্কিন এ কংগ্রেসম্যান।
তিনি বলেন, আরও কয়েকজন কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে জোরালোভাবে লবিং করছে। তাদের কথা অনুযায়ী আমরা এটা করব না। এটা সম্ভব নয় এবং আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেব।
চলতি বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন জানিয়ে মিকস বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় দেখতে তিনি এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। তার আগে আমি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক কংগ্রেস সাব-কমিটির সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেসে শুনানির ব্যবস্থা করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর আগে অবশ্য গত বছরের নভেম্বরে র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তবে বিষয়টি নতুন বছরের শুরুতে গণমাধ্যমে আসে।
এছাড়া র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বরাবর চিঠিটি দিয়েছেন।