সময় এখন ডেস্ক:
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি এবং তার সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরেই টার্গেট। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমটিতে কর্মরত নারী সাংবাদিকদের চরিত্রহনন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফারজানা রূপা, মিথিলা ফারজানাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষোদগার ও কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট ছড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ সাংবাদিক নাজনীন মুন্নির নাম দিয়ে একটি ভুয়া ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানো হয়। ভিডিওগ্রাফি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাছাকাছি চেহারার ভারতীয় এক মডেলের ভিডিওকে কারসাজি করে মুন্নির ভিডিও বলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নাজনীন মুন্নি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হন।
পুলিশি তদন্তে অবশেষে দোষীদের সন্ধান মেলে। তথ্য-প্রমাণ হস্তগত করার পর ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার একজন চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা নুর হোসাইন নুরু ও রাজধানী ঢাকার সবুজবাগের বাসিন্দা সজীব মিয়া।
আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মামলার পর গুলশান থানায় একটি ফেসবুক আইডি ও একটি ব্লগ থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রমাণ পাওয়ার পর আইডি ও ব্লগের মালিককে শনাক্ত করে উক্ত দুই অপরাধীকে আটক করে পুলিশ।
ডিসি গুলশান এসময় বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরু আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, তার ফেসবুক থেকে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। তিনি বলেছেন তার সংগঠনের সিনিয়র যুবদল নেতা তাকে এই ভিডিওটি পোস্ট করতে বলেছিলেন।
সিনিয়র নেতার আদেশে নুরু ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল করার চেষ্টা করেন। এছাড়া একই নেতার আদেশে তিনি ফেসবুকে সরকার বিরোধী অনেক গুজব ও মিথ্যা পোস্টও দেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
গুলশান বিভাগের ডিসি আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নুরু ও সজীবকে আটকের পর আমরা আজ আদালতে রিমান্ড আবেদন পাঠিয়েছি। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা আরও বিশদভাবে জানতে পারব।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে আছে ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নেতা, অপরজন চট্টগ্রামের যুবদলের নেতা।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত নুরের সিনিয়র যুবদল নেতা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সবুজবাগ থানা কমিটির সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তন্ময়কে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।