কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে অ’স্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪ সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পতাকা বৈঠকে বিজিপির ওই সদস্যরা নিয়মবহির্ভূতভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে স্বীকার করে তাদের ফিরিয়ে নেয় মিয়ানমার।
এরা হলেন- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর নাগকুড়া ব্যাটালিয়নের মেগচিং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন লি উইন কো মং (৩০), সার্জেন্ট ইয়ানাং তুন (৩১), সার্জেন্ট প্যায়াং গি (২৫) ও সিপাহী ক্য ক্য (২৮)।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১২ সদস্য ও মিয়ানমারের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান। মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিপির ১নং ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডিং অফিসার ক্য উইন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া নাফ নদী থেকে বিজিপির ওই ৪ সদস্যকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাদের কাছে একটি স্পিডবোট, অ’স্ত্র ও গোলাবারুদও পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞা’সাবাদে তারা বিজিপি সদস্য বলে স্বীকার করে।
প্রসঙ্গত, ইতপূর্বে গত ৩ মার্চ তারিখেও বৈঠকের মাধ্যমে এক বিজিপি সদস্যকে আটকের ৩৯ দিন পর হস্তান্তর করে বিজিবি।
সে সময় লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ভাল্লুকখাইয়া সীমান্তের হাতিছড়া এলাকা থেকে গত ২৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের ওই সেনা সদস্যকে আটক করা হয়। তার নাম অং বো বো থিন।
আটকের সময় তার পরনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) পোশাক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ছিল। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই সেনা সদস্য জানিয়েছেন- তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এলআইবি-২৮৭ ব্যাটালিয়নের সদস্য। রাখাইনের বান্ডুলা ৫০নং ক্যাম্পে প্রেষণে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ঘুরতে ঘুরতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। আর এ কারনে তাকে বিজিবি সদস্যরা আটক করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটকের পর তাকে কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, চাপ প্রয়োগ বা অবমাননাকর কোনো আচরণ করা হয়নি। বাংলাদেশের সরকারি সংস্থার হাতে আটক থাকা অবস্থায় মিয়ানমারের সেনা সদস্য অং বো বো থিনকে জেনেভা কনভেনশনে বর্ণিত শর্ত মোতাবেক খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
45