বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিশেষ উদ্দেশ্যে বিকৃত করে গণমাধ্যমে প্রচার!

0

সময় এখন ডেস্ক:

ফেসবুক, ইউটিউবসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিউ পাওয়ার আশায় এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার শুরু করেছে দেশের একাধিক গণমাধ্যম।

গত শুক্রবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) রংপুরে সাংবাদিকদের টিপু মুনশি বলেছিলেন, আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার আলু উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানির বিষয়ে সজাগ রয়েছে।

মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই দেশে তেল, চিনি ও ডালের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে সরকারের কিছু করার থাকে না।

বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন সাবলীল বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে কয়েকটি গণমাধ্যমে লিখেছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু করার নেই, বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

প্রথম দেখায় এমন হেডলাইন পড়লে যে কারোর মনে হবে, দেশের অভ্যন্তরে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে সরকারের কিছু করার নেই। অথচ মাননীয় মন্ত্রী সেই অর্থে কথাটি বলেননি। মন্ত্রী বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে এ বিষয়ে কিছু করার থাকে না। যে কথাটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক।

এরপরও সরকার ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ এসব তথ্য জনসম্মুখে প্রদান না করে সেই চিহ্নিত গণমাধ্যমগুলো প্রচার করছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু করার নেই। যা সম্পূর্ণ বিকৃত, মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিকর এবং একটি বানোয়াট তথ্য।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত বলেন, টিআরপি পাওবার উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের এমন সস্তা কার্যকলাপ এবারই প্রথম নয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিনোদন জগত কিংবা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের যেকোনো কথার ভিন্ন অর্থ তৈরি করে তারা ভিউ পাবার আশায় বিকৃতভাবে প্রকাশ করে।

এতে ভুক্তভোগীর অসম্মান হলেও তাদের কিছু যায়-আসে না। বাণিজ্যিক গণমাধ্যমগুলোর প্রয়োজন শুধু প্রচার। এ বিষয়গুলো তদারকির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত আরো বলেন, বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও প্রতিটি দেশের মতো কিছু ক্ষেত্রে অন্যদেশের ওপর মুখাপেক্ষী হতে হয়। সে ক্ষেত্রে উক্ত দেশে পণ্যের দাম বাড়লে বাংলাদেশেও সেই পণ্যের দাম বাড়বে, এটি স্বাভাবিক বিষয়।

বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন সহজ কথায় আমি দোষের কিছু দেখছি না। যে বা যারা মাননীয় মন্ত্রীর এ কথাকে বিকৃত করছে নিশ্চয় তারা দেশবিরোধী শক্তি। তাদের কথাকে মূল্যায়ন না করে দেশের মানুষের উচিত উন্নয়নের অংশীদার হয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!