বিশেষ প্রতিবেদন:
মহামারি পরবর্তী বিশ্বে প্রতিটা দেশেরই ব্যয় বহুগুণে বেড়েছে। করোনার টিকা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ সংগ্রহ, কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে চাল ক্রয় বৃদ্ধি, উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ইত্যাদি কাজের জন্য বেড়েছে ব্যয়। এর ফলে ভর্তুকি কিছুটা কমানোর উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
কিন্তু এতে দ্রব্যমূল্যের বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি। কিন্তু এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারকে দায়ী করে গুজব ছড়াচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। নিজেদের ব্যবসায় স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে মূল্যবৃদ্ধির পুরো দায় চাপিয়ে দিচ্ছে সরকারের ওপর। অথচ সরকারি প্রভাবে দাম একটুও বাড়েনি। বিশ্ব বাজার এবং সিন্ডিকেটের কারণেই বেড়েছে মূল্য।
তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববাজারের প্রভাবেও দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু কুচক্রী মহল দামবৃদ্ধির পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। যাদের উদ্দেশ্য- সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দ্রব্যমূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ‘সহনীয় মাত্রায়’ নামিয়ে আনতে ‘মূল্য সমন্বয়’ করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আর জনবান্ধব সরকার অবশ্যই জনসেবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিছুদিনের মধ্যেই বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। সেই সঙ্গে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় পরিবহণ ব্যয়ও বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যের ওপর। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি শুরু হয়েছে। এর কারণেও বেড়েছে দ্রব্যমূল্য।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। সামান্য মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক এমন কিছু যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।