বঁটি দিয়ে নানাকে জবে করলো ‘বড় জি’হাদি’ দাবী করা নাতি

1

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাট সদর উপজেলার করিম নগর গ্রামে নানা বেলাল উদ্দিনকে (৭০) জবে করে হ’ত্যা করেছে নাতি বায়েজিদ বোস্তামি। স্থানীয়রা বায়েজিদকে (১৯) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বেলাল উদ্দিন ওই গ্রামের আজিজ উদ্দিনের ছেলে। আটক নাতি বায়েজিদ একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী পারুলিয়া গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৮-১০ বছর ধরে বায়েজিদ নানার বাড়িতে থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। তবে মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে সে ভালো লেখাপড়া করতে পারত না। সে প্রায় সময় নিজেকে ‘বড় জি’হাদি’ বলেও দাবি করত।

বুধবার সকালে নানা বেলাল বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন। এ সময় বায়েজিদ বঁটি দিয়ে তার নানাকে গলা কেটে হ’ত্যা করে। পরে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) রায়হান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামি বায়েজিদকে আটক করেছে। মর-দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তালাক দেয়ায় স্ত্রীর ন’গ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলেন স্বামী

আশুলিয়ায় তালাক দেয়ায় স্ত্রীর ন’গ্ন ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী। এমন অভিযোগে বখাটে ওই স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোরে আশুলিয়া থানা পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্তের পর তাকে বগুড়া সদর থানা এলাকা থেকে আটক করেছে।

আটক তানভীর হোসেন নাঈম (২৫) বগুড়া জেলার সদর থানার ফুলবাড়ী গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাম কৃষ্ণ দাস জানান, ২০১৬ সালে তানভীরের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় চলতি বছরের আগস্ট মাসের ৯ তারিখ তাকে তালাক দেয় স্ত্রী।

কিন্তু তালাক দেয়ার পর থেকেই আগের ধারণকৃত বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে স্ত্রী ও তার পরিবারকে ব্ল্যাক’মেইল করতে থাকে তানভীর। এই ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট আশুলিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (৭১ নং) দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, আটকের সময় তার কাছ থেকে ২টি মুঠোফোন, ১টি পেনড্রাইভ ও ১টি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়। এছাড়া আসামিকে জিজ্ঞা’সাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, থানায় অভিযোগের পর থেকেই মুঠোফোনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার ভোরে বগুড়া সদর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

১ Comment

Leave A Reply

error: Content is protected !!