সময় এখন ডেস্ক:
রাজধানীর মগবাজার মোড়ে অবস্থিত নামকরা থ্রি স্টার রেস্টুরেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির রান্নাঘরে ঢুকেই দেখা যায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। চারদিকে ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে রকমারি সব খাবার। এছাড়া বিক্রি করছে পচা, বাসি শিক কাবাব, গ্রিল চিকেন।
বুধবার অভিযানে স্বচক্ষে তাদের এ অবস্থা দেখে ৭০ হাজার টাকা জরি’মানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
এ সময় সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, আজ মগবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাসি শিক কাবাব, গ্রিল চিকেন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে থ্রি স্টার রেস্টুরেন্টকে ৭০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়।
একই দিন বিস্কুট, পাউরুটি ও কেকের মোড়কে উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য লেখা না থাকায় লক্ষ্মীপুর ফুড কর্ণার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয়।
ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। যারা ভেজাল করছে তাদের বিরু’দ্ধে আইন অনুযায়ী শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন হাতিরঝিল থানা পুলিশ সদস্যরা।
নারায়ণগঞ্জে অ’স্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা
নারায়ণগঞ্জে ৫টি ধারালো ছোরাসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগের বায়তুন নূর জামে মসজিদের পেছনের বালুর মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- দেওভোগ এলাকার আহসান মিয়ার ছেলে আসিফ (১৭), একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সিপন (১৭) ও শনখোলা এলাকার শাহজাহানের ছেলে সুমন (১৬)।
পরে ওই ৩ কিশোর সন্ত্রা’সীকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থল ফতুল্লা মডেল থানাধীন হওয়ায় সদর থানা পুলিশ তাদেরকে ওই থানায় হস্তান্তর করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জানান, সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেওভোগের বাড়ির অদূরে বালুর মাঠে কয়েকজন কিশোর সন্ত্রা’সী ধারালো ছোরা নিয়ে অবস্থান করছিল। এ সময় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে ৩ জনকে আটক করে, বাকিরা ছোরা ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এরপর তারা সদর থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে ৫টি ধারালো ছোরা উদ্ধার ও ৩ জনকে আটক করে। কিন্তু ঘটনাস্থল ফতুল্লা মডেল থানা এলাকার মধ্যে পড়ায় পরে তাদেরকে ওই থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সদর থানা পুলিশ ৩ জনকে ধরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।