স্পেশাল করেসপন্ডেন্স:
বিএনপির ডাকসাইটে নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এক সময়ের সংসদ সদস্য এই নেতা ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি। খুলনার জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে মনিরুজ্জামান মনির নামডাকও কম নয়। বিগত সময়ে তিনি খুলনার নগরপিতা ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। মঞ্জু ও মনির চোখে বিএনপির রাজনীতির মূল খলনায়ক এখন তারেক রহমান।
এই দুই নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারেক রহমানের হঠকারী বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তের কারণেই আজ বিএনপির এই অবস্থা। তার কারণেই নোংরামির শেষ স্তরে চলে গেছে বিএনপির রাজনীতি। অন্যের বুদ্ধি ধার করে চলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক শিক্ষার অভাবের কারণে তারা পরনির্ভরশীল হয়ে থাকেন। ফলে দলের আজ এই অবস্থা।
বিপথগামী একদল চাটুকারদের কারণে খালেদা জিয়ার বিএনপি আজকে ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। সত্যি বলতে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অশিক্ষা-অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে চাটুকার কিছু নেতা বিএনপিকে এতদিন ভুল পথে পরিচালিত করেছে। সেসব ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জুয়ার নেশায় প্রতিদিন হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করেন তারেক রহমান। জুয়ার টাকা ম্যানেজ করতে দলের বিভিন্ন কমিটি বানানো, সংসদ নির্বাচনের আগাম টিকিট বিক্রি, বিভিন্ন ছুতোয় চাঁদা আদায় করেন তিনি। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই বহিষ্কার হতে হয় দল থেকে।
তিনি আরো বলেন, মূলত ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির অধঃপতন শুরু হয়। বিএনপির এই পতনের পেছনে দায়ী তারেক রহমান ও তার বুদ্ধিজীবীরা।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বিএনপি গত ৯ই ডিসেম্বর এক ঘোষণায় ছেঁটে ফেলা হয় মঞ্জু-মনিকে। আর তাতেই তেঁতে ওঠে তারেকবিরোধী কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদটিও কেড়ে নেয় তারেক রহমান।
এরপর থেকে মঞ্জু ও মনির অনুসারীদের মনে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা যেন কোনোভাবেই সারছে না। তাদের সেই ক্ষত এখন ‘তুষের আগুন’ হয়ে জ্বলছে।