বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল সদর উপজেলার চর্মনাই ইউনিয়নের নলচর সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে চর্মনাই পীরের ৩ মুরিদ নিহত হয়েছেন।
এ সময় আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একইদিন ভোরে ওই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল আকন জানান, ঢাকার দিক থেকে মাহফিলের উদ্দেশে পীরের মুরিদদের নিয়ে কাঠবডির ট্রলারটি চর্মনাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে প্রায় ৩০ মুরিদ মাঝ নদীতে ডুবে যান।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম বলেন, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতের দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
এ সময় ৪ জনের নিখোঁজের সংবাদ ছিল আমাদের কাছে। তবে ইতোমধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে চর্মনাই মাহফিলের উদ্দেশে আসছিল কিছু মুরিদ।
চর্মনাইয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে ট্রলারটি ডুবে যায়। কিন্তু কতজন যাত্রী নিয়ে ডুবেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে মারা পাথরে দাঁত ভাঙল শিশুর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কুমিরা এলাকায় চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে মারা পাথরে আবির নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশু আহত হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাথরের আঘাতে আহত শিশু আবিরের ৩টি দাঁত ভেঙে গেছে। সে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার আদিলের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসছিল আবির।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুমিরা এলাকায় অন্ধকারে কে বা কারা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছালে আহত শিশু আবিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দেননি। জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা চলছে।