সময় এখন ডেস্ক:
চট্টগ্রামে একুশে বইমেলা প্রাঙ্গন থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তারকৃত যুবক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের’ সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. রুমেলের (২২) বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায়। তিনি থাকেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায়, সেখানে একটি কারখানায় তিনি কাজ করেন।
গত সোমবার নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করেছিল নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তবে সে সময় তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিইউ) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আহমেদ পেয়ার বুধবার বলেন, গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে উস্কানিমূলক বিভিন্ন ধরনের লিফলেট ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে বুধবার ওই মামালায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পেয়ার।
মামলায় বলা হয়েছে, আনসার আল ইসলামের সদস্য রুমেলের কাছ থেকে শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন বিরোধী লিফলেট এবং কাপড় জব্দ করা হয়েছে।
বইমেলায় হামলার জন্য রুমেল সেখানে গিয়েছিল এবং তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগীর যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
মামলায় বলা হয়েছে, তারা গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে ইসলামী শরিয়াহ ও খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে চায়। অপ্রচলিত অ্যাপ ব্যবহার করে তারা সংগঠনের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।
রুমেলকে আটক করার দিন ২০ বছর বয়সী আরেক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তবে ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায়’ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওসি নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।
মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে- এমন বইমেলায় রাখা যাবে না বলে গত রোববার মেলার উদ্বোধনের আগে জানিয়েছিলেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এবারের একুশে বইমেলার স্টল বরাদ্দের আবেদন ফরমে বলা হয়, মেলার স্টলে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও পাইরেটেড কোনো বই রাখা যাবে না। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ নিয়ে কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইমেলায় ‘ইসলামী বই বিক্রি করা যাবে না’ এমন গুজব ছড়িয়ে মেলা বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মেয়র বলেছিলেন, ইসলামী ধর্মীয় বই রাখা যাবে না, এটা কোনোখানে বলা হয়নি। জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা যারা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে, যে বই পড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হয়- সেসমস্ত বই এই মেলাতে রাখা যাবে না।