আবারও বিএনপি-জামায়াতের হত্যার রাজনীতি: ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী

0

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে শহিদ মিনার থেকে শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ২৫শে জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এতে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

নাটোর সদরের হয়বতপুর এলাকার একটি শহিদ মিনার চত্বর থেকে বোমাটি উদ্ধারের পর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৫) এর রাজশাহীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

রোববার (১৯শে জুন) সকালে বোমাটি দেখার পর পুলিশ ও র‍্যাবের একটি দল শহিদ মিনারসহ পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। ওই বোমার সাথে একটি চিরকুট ছিল। যাতে লেখা ছিল- একা নয়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মরব। পরে দুপুরের দিকে রাজশাহী থেকে র‍্যাবের একটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাটি উদ্ধার করে।

পরে বোমটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এ সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের ধারণা, বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গি সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের কাজ এটি। এর আগেও নাটোরে নাশকতা চেষ্টা ও জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে যেসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা মিলেছিল বলে জানা যায়।

এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। র‍্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, শনিবার রাতে সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনের শহিদ মিনারের পাদদেশে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় বোমাটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশকে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ও র‍্যাবের একটি দল পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। পাশাপাশি রাতেই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। রোববার সকালে রাজশাহী থেকে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাটি উদ্ধার করে। পরে পার্শ্ববর্তী একটি ইট ভাটায় নিয়ে বিস্ফোরণের মাধ্যমে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, কেউ এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টিতে এটি এখানে রেখেছে হয়ত। অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামী ২৫শে জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিশৃংখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কেউ এ ধরণের কাজ করে থাকতে পারে। এছাড়া এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কোন দুস্কৃতিকারী এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছে কি না তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, শহিদ মিনারের পাশেই ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ রয়েছে। তার সামনে দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। হয়তো কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে এ ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা জরুরী বলে দাবী স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!