আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বোরকা পরে বাইরে বের হওয়ায় এক মার্কিন নারী পর্যটক এক ভারতীয় নারী চিকিৎসককে অপমান ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ২৭ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক এক নারী সঙ্গীসহ নিয়ে পুনের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ক্লোভার সেন্টার মার্কেটে কেনাকাটা করছিলেন। এ সময় ৪৩ বছর বয়সী এক মার্কিন নারী পর্যটক বোরকা পরিহিত ওই নারী চিকিৎসককে গালাগাল দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
ভারতীয় অনলাইন বেঙ্গল রিপোর্টের তথ্য মতে, পুনের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক মার্কিন নারী পর্যটক বোরকা পরা এক নারী চিকিৎসককে দেখেই তার পরিচয় জানতে চান যে, তিনি মুসলিম কি-না? নারী চিকিৎসক নিজের মুসলিম পরিচয় জানাতেই মার্কিন ওই নারী তাৎক্ষণিক সেই চিকিৎসককে গালাগাল দেন এবং মারধ’র করতে থাকেন।
মুসলিম নারী চিকিৎসকে অভিযোগের ভিত্তিতে পুনে পুলিশ মার্কিন নারী পর্যটককে আটক করে। এ সময় মার্কিন নারী পর্যটক পুলিশকেও গালাগাল দেন এবং অপমানজনক কথা বলতে থাকেন।
পুলিশ বিষয়টি ভারতের মার্কিন দূতাবাসকে জানায়। দূতাবাস থেকে ওই নারী পর্যটককে ফোন করা হলে তিনি দূতাবাস কর্মীদের সঙ্গেও অ’পমানজনক আচরণ করে বসেন।
তবে পুলিশের তথ্য মতে জানা যায়, ওই মার্কিন নারী মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি পুনের কোন্ধওয়া এলাকায় একজন মুসলিমের সঙ্গেই বসবাস করেন।
পরে মার্কিন ওই নারী পর্যটকের বিরু’দ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘা’ত ও মানহা’নির মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা ও মামলার বিষয়টি মার্কিন দূতাবাসকেও জানানো হয়েছে।
মুসলিম সন্দেহে গণপি’টুনিতে মা’রা গেলেন মন্দিরের পূজারী!
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গণপি’টুনির শিকা’র হলেন এক যুবক পূজারী। সাহিল সিং নামে ২৩ বছরের এক যুবক পূজারীকে মুসলিম সন্দেহে গণপি’টুনি দিয়ে হ’ত্যা করা হয়।
দিল্লির মৌজপুর অঞ্চলের পণ্ডিতদের জন্য নির্ধারিত রাস্তায় ২৩ বছরের এ যুবক সাহিল সিংকে হাঁটতে দেখে পণ্ডিতরা। তারা তাকে মুসলিম ভেবে বেধড়ক মারধ’র করে। ফলে পণ্ডিতদের গণপি’টুনিতে মা’রা যায় সাহিল সিং।
পণ্ডিত সুনীল সিংয়ের বড় ছেলে সাহিল সিং বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা করতো।
সাহিল সিংয়ের মা সংগীতা সিং নিউজ পোর্টাল বাইন্ড হেডলাইনকে জানান, পণ্ডিতরা মুসলমান ভেবে আমার ছেলে হ’ত্যা করেছে। সে আমাদের সংসার চালাত। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিল সে। কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা অসুস্থ, শয্যাশয়ী।
ঠাকুর পণ্ডিতরা তাদের ব্যবহৃত রাস্তায় সাহিলকে হ’ত্যার পর এভেবে খুশি হয়েছিল যে, আমরা একজন মুসলিমকে হ’ত্যা করতে পেরেছি। যখন তারা জানতে পারে যে, সাহিল সিং মুসলিম নয়, তাদেরই এক অসুস্থ ঠাকুরের ছেলে, আরেকজন পূজারী, তখন তারা হতভম্ব হয়ে যায়। আর বলে খুব বড় ভুল ঘটনা ঘটেছে।