পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে আরিফা আক্তার নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে।
আরিফা পঞ্চগড় পৌর এলাকার জালাসী হঠাৎপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি আমিনুল ইসলামের তৃতীয় মেয়ে। সে জালাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সন্তানদের বাড়িতে রেখে হাসপাতালে এক স্বজনকে দেখতে যান আরিফার মা সেলিনা আক্তার। বাবা আমিনুল ইসলামও কাজ থেকে তখনও বাড়ি ফিরেনি। সেলিনা বাড়ি ফিরে দেখতে পান ঘরে ভেতর থেকে দরজা লাগানো। বাবার সঙ্গে ওই ঘরেই ঘুমাতো আরিফা।
বার বার দরজায় ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পান খাটের স্ট্যান্ডের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে আরিফা। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লা’শ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লা’শ হস্তান্তর করা হয়।
আরিফার বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, কীভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। আমি কাজে থাকা অবস্থায় খবর পাই। আমার কোনো শত্রু নেই। তবে আরিফা জেদি ছিল। আমার ৫ মেয়ে। মেয়েরাই আমার সব, খুব আদর করি তাদের। সকালে ২০ টাকা আবদার করেছিল। আমি ১০ টাকা দিয়ে যাই। কিন্তু সে আত্মহ’ত্যা করবে কেন, ভেবে পাচ্ছি না।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।
সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, পরিবারের দাবি শিশুটি আত্মহ’ত্যা করেছে। ছোট শিশু হওয়ায় অনেকের কাছে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাই শিশুটির লা’শ ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অ’পমৃত্যুর মামলা হয়েছে।