ভিন্ন জাতে প্রেম, আদিবাসী তরুণীকে প্রহার ও অর্ধন’গ্ন করে গ্রাম ঘোরালেন মোড়ল!

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অন্য সম্প্রদায়ের এক তরুণের সঙ্গে প্রেম করার ‘অপরাধে’ আদিবাসী এক তরুণীকে বেধড়ক প্রহারের পর অর্ধন’গ্ন করে গ্রামে ঘুরিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। অর্ধন’গ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর সাজায় সায় ছিল ওই তরুণীর পরিবারেরও। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার তেমাচি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশটির একটি দৈনিক বলছে, তেমাচির ভিলালা সম্প্রদায়ের ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে ভিল সম্প্রদায়ের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দু’জনের এই প্রেমের কথা জানাজানি হয়ে যায় গ্রামবাসীদের মাঝে।

পরে গ্রামের মোড়লরা সালিশি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ওই তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধ’র করার। পরে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে অর্ধন’গ্ন করে পুরো গ্রামে ঘোরানো হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, মোড়লদের কাছে ক্ষমা চাইছেন ওই তরুণী। কিন্তু তার কান্না শুনে কেউই এগিয়ে আসেননি। এমননি তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক প্রহার করা হয়।

মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। আলিরাজপুর জেলার জোবাট পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার আর সি ভাকর বলেছেন, তরুণীকে মারধ’রের ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই তরুণী কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ গ্রামে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তরুণী ও তার বাবা গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যে কারণে ওই তরুণীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মুসলিম সন্দেহে গণপি’টুনিতে মা’রা গেলেন মন্দিরের পূজারী!

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গণপি’টুনির শিকা’র হলেন এক যুবক পূজারী। সাহিল সিং নামে ২৩ বছরের এক যুবক পূজারীকে মুসলিম সন্দেহে গণপি’টুনি দিয়ে হ’ত্যা করা হয়।

দিল্লির মৌজপুর অঞ্চলের পণ্ডিতদের জন্য নির্ধারিত রাস্তায় ২৩ বছরের এ যুবক সাহিল সিংকে হাঁটতে দেখে পণ্ডিতরা। তারা তাকে মুসলিম ভেবে বেধড়ক মারধ’র করে। ফলে পণ্ডিতদের গণপি’টুনিতে মা’রা যায় সাহিল সিং।

পণ্ডিত সুনীল সিংয়ের বড় ছেলে সাহিল সিং বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা করতো।

সাহিল সিংয়ের মা সংগীতা সিং নিউজ পোর্টাল বাইন্ড হেডলাইনকে জানান, পণ্ডিতরা মুসলমান ভেবে আমার ছেলে হ’ত্যা করেছে। সে আমাদের সংসার চালাত। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিল সে। কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা অসুস্থ, শয্যাশয়ী।

ঠাকুর পণ্ডিতরা তাদের ব্যবহৃত রাস্তায় সাহিলকে হ’ত্যার পর এভেবে খুশি হয়েছিল যে, আমরা একজন মুসলিমকে হ’ত্যা করতে পেরেছি। যখন তারা জানতে পারে যে, সাহিল সিং মুসলিম নয়, তাদেরই এক অসুস্থ ঠাকুরের ছেলে, আরেকজন পূজারী, তখন তারা হতভম্ব হয়ে যায়। আর বলে খুব বড় ভুল ঘটনা ঘটেছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!