সময় এখন:
বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবকে নিয়ে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ।
ডয়েচে ভেলের সাথে নেত্রনিউজ নামের একটি তৃতীয় সারির ওয়েবপোর্টালের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ডেথ স্কোয়াড’: র্যাবের ভেতরের কথা- শিরোনামের তথ্যচিত্রকে ‘স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক অশুভ অভিপ্রায়ে প্রচারিত প্রতিবেদন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছে।
সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ-এর পক্ষে ড. মাযহারুল ইসলাম রানা (কার্ডিফ, যুক্তরাজ্য), ব্যারিস্টার ফৌজিয়া আক্তার পপি (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), এম আহমেদ (জার্মানি), সোহেলা পারভীন (লিওন, ফ্রান্স), জি.এইচ.মাহমুদ (জার্মানি), ডেভিড রহমান (আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস), সোহেল পারভেজ (বেলজিয়াম) এবং সালেহ মোস্তফা জামিল (সুইডেন) স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ডয়চে ভেলে ও নেত্রনিউজের তথ্যচিত্রকে মনগড়া ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণবিহীন বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের বাংলাদেশী বিজ্ঞানী, গবেষক, আইনজীবি, প্রকৌশলী ও সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, ডয়েচে ভেলের অনুষ্ঠান বিষয়ক কার্যপ্রণালী বিধি মোতাবেক একতরফা ভাবে কোন দল বা রাজনৈতিক দল বা বিশেষ কোন সম্প্রদায়কে সমর্থন করবে না বা উস্কে দেবে না।
উপরন্তু ডয়েচে ভেলে এমন কোন অনুষ্ঠান করবে না, যাতে করে জার্মানির সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। কিন্তু বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব-এর বিরুদ্ধে প্রচারিত তথ্যচিত্রটিতে অনেক বিতর্কিত, ভুল ও সাংঘর্ষিক তথ্য রয়েছে, যা ডয়চে ভেলের মৌলিক নীতি বিরুদ্ধ বলে আমারা মনে করি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, র্যাবের বিরুদ্ধে নির্মিত তথ্যচিত্রে একটি বিশেষ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অপপ্রচারকে যাচাই বাছাই না করে অনুসন্ধানী রিপোর্টের নামে প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেও সাম্প্রতিক মার্কিন মূল্যায়নে র্যাবের কর্মকাণ্ডে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা স্থান পায়নি।
ডি.ডব্লিউ বাংলা বিভাগের পক্ষপাতদুষ্ট এই তথ্যচিত্রে যাচাই না করে উৎসের ব্যবহার, পেশাগত অপরাধীর কাছ থেকে নেওয়া সন্দেহজনক সাক্ষ্য, গুম হয়ে যাওয়া মানুষের মিথ্যা তালিকা প্রদর্শন উদ্দেশ্যমূলক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কথিত হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় অসৎ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট করে তথ্যচিত্রের শেষে বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত মতামত ও পরামর্শ প্রদান, শুধুমাত্র বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমের নীতিমালার পরিপন্থিই নয়, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল।
ডয়েচে ভেলের তথ্যচিত্রকে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস এবং বিশেষ একটি বিরোধী দলকে অযৌক্তিক ও অনৈতিক সমর্থন দানের অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপের পক্ষ থেকে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করার কথাও বলা হয়েছে।
বিবৃতি: