টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে ৮ বছরের শিশুকে ধ’র্ষণের ঘটনায় জড়িত পলাতক বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২-এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘাটাইল উপজেলার সাতকুয়া খাজার চালা পাহাড়ি গভীর জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাচ্চু মিয়ার পালিয়ে যাওয়া নিয়ে গতকাল সময় এখন-এ টাঙ্গাইলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পলাতক পঞ্চাশোর্ধ্ব বৃদ্ধ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে চারদিকে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
গ্রেপ্তারকৃত বাচ্চু মিয়া (৫৫) টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার হাউজিং মাঠ এলাকার মৃত তারাব আলীর ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার শফিকুর রহমান।
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর হেলার ফকিরের শহরের আকুরটাকুর পাড়ার ভাড়া বাসায় ওই ছাত্রী ধ’র্ষণের শিকা’র হয়। সোমবার ছাত্রী দাদা বাদী টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল ফকিরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া হাউজিং মাঠের বাসায় ভাড়া থাকত তারাব আলীর ছেলে মো. বাচ্চু। একই বাড়িতে অপর এক ঘরের ভাড়াটিয়া দাদা-দাদির সঙ্গে থাকত প্রথম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। সিএনজি অটোরিক্সা চালানোর কারণে তার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন।
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাইরে যান শিশুটির দাদা-দাদি। তখন তাকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধ’র্ষণ করে বাচ্চু মিয়া। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাচ্চু পালিয়ে যায়।
বিষয়টি প্রথমে পারিবারিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও পরবর্তীতে তা ব্যর্থ হয়। পরে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে একই দিন ২২ ধারায় আদালতে জবানব’ন্দি দেয় ওই শিশু।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার শফিকুর রহমান বলেন, শিশুকে ধ’র্ষণের পর বাচ্চু পাহাড়ি জঙ্গলে আত্মগোপনে ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার ভোরে সাতকুয়া খাজার চালা পাহাড়ি জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব।