সময় এখন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে সালাম বিনিময় করে শোভন-রাব্বানী চলে আসেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কারও সঙ্গেই তেমন কথা না বলে শুধু সালাম নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী জানান, ছাত্রলীগের এই কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিরূপ মনোভাব তারা দেখতে পাননি। বরং আন্তরিকভাবেই সালাম নিয়েছেন বলে জানান শোভন-রাব্বানী।
এর আগে গত শনিবার গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
পরে গতকাল রোববার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেছেন- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের চলে যেতে বলবো কেন? প্রাইম মিনিস্টারের ওখানে দেখা করতে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে নেতারা গেছে, ছাত্রলীগ গেছে। প্রাইম মিনিস্টারের বাড়িতে তারা গেছে। আমি কীভাবে বলি, তোমরা এখান থেকে চলে যাও? আসলে কিছু কিছু খবর হাওয়া থেকে পাওয়া হয়ে যায়। একটা হয়, আরেকটা আসে। নানাভাবে ছড়ায়। বাস্তবতাটা ভিন্ন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ ধরনের (কমিটি ভেঙে দেয়া) কিছু হলে আপনারা তো দেখবেনই। এটা তো পাবলিক স্টেটমেন্ট। ডিসিশন জানা যাবে, এটা তো ওপেন সিক্রেট হয়ে যাবে, তখন সিক্রেট থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী কি ক্ষুব্ধ হয়ে একথা বলেছেন- প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, একথা বলেছেন, না বলেছেন- কোনোটাই আমি বলবো না। যতক্ষণ না সিদ্ধান্তটা কার্যকর হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সিদ্ধান্ত আকারে না আসছে, ততক্ষণ এর সত্যতা স্বীকার করব না।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ড নিয়ে আপনি সন্তষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেগুলো সন্তোষ প্রকাশ করার মতো, সেগুলোতে সন্তোষ প্রকাশ করি। আর যেগুলো লোকে পছন্দ করে না, সেগুলো আমিও পছন্দ করবো না। এটাই স্বাভাবিক। সে ব্যাপারে আমি তাদের সতর্ক হতে বলি, সাবধান হতে বলি। তাদের সুনামের ধারায় ফিরে আসতে বলি, ভালো খবরের শিরোনাম হতে বলি- এটা আমি অহরহ বলে যাচ্ছি।