ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে যেসব কারণে

0

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

জন্ম নিলে মা’রা যেতেই হবে। এই বাস্তবতা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নানাভাবে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তবে ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ মৃত্যু একটু বেশি আফসোসেরই বটে। আর ঘুমের মধ্যে মৃত্যুর কারণ জানলে চমকে উঠবেন নিশ্চয়ই।

আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এ সময় হৃদযন্ত্রজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। ঘুমের মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্ট্রোক করে অনেকেই মা’রা যান। আবার ঘুমের মধ্যে অনেকেই হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ না করায় দম আটকে মা’রা যান। মাত্রারিক্ত ওজনও ঘুমের মধ্যে মৃত্যুর অন্যতম একটি বড় কারণ।

যাদের ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে, মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে তাদেরও। স্লিপ অ্যাপনিয়া নামক সমস্যার কারণে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। যা ঘুমের মধ্যে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া স্লিপ ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যাও ঘুমের মধ্যে মৃত্যু ঘটানোর জন্য অনেকটাই দায়ী।

ঘুমের মধ্যে অনেকেই ভুলভাল স্বপ্ন দেখেন। এর ফলে ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়ায় ঘুম ভেঙে যায়। এমন ভয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়াই ভালো, ঘুম না ভাঙলেই বরং বেড়ে যায় মৃত্যু ঝুঁকি।

ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমানো ঠিক নয়। বদ্ধ ঘরে সহজেই কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়। কার্বন মনোক্সাইডের কারণে দম আটকে মা’রা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঘুম থেকে উঠে ভুলেও যে ৬ টি কাজ করবেন না!

১. সকালে উঠেই কফি নয়

আমাদের শরীরের কর্টিসল হরমোনের উৎপাদন হয় দেখেই আমরা ঘুম থেকে উঠে পড়ি। কিন্তু কফি এটি উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে একটা সময় দেখা যায় ক্যাফেইনের প্রতি শরীর আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে কর্টিসল তৈরি করতে পারে না। তাই অন্তত সকাল ১০টার আগে মোটেও কফি নয়।

২. অন্ধকারে সকালটা কাটাবেন না

আমাদের শরীরের ঘড়ি আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়েই ঘোরে। আলোর উপর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ নির্ভর করে। এই হরমোনই শরীরকে বলে, কখন ঘুমানোর সময় এবং কখন জেগে উঠার। আলো বেশি থাকে বলেই কিন্তু গরমকালে জেগে উঠা সহজ হয়। সকালটা তাই উজ্জ্বল আলোতে কাটান। শরীরেরও পুরোপুরি জেগে উঠার কাজটা সহজ হবে।

৩. তন্দ্রাভাব

অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকক্ষণ ঝিমান। কিন্তু এর ফলে আপনার মস্তিস্ক পুনরায় সেই ঘুমের সাইকেলে নিয়ে যায়। ফলে আপনার গভীর ঘুমের অনেকটাই প্রভাব চলে আসে শরীরে। আর এজন্য আপনি সারাদিন টালমাটাল বোধ করবেন। তাই অ্যালার্ম শোনার সঙ্গে সঙ্গে যত কষ্টই হোক ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।

৪. অপ্রয়োজনীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না

ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ প্রতিদিন একই ধরনের টি-শার্ট পরেন। তার মতে এতে করে দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার তালিকা থেকে অন্তত একটা বিষয় তো কমলো। পোশাক নির্বাচনে যে বাড়তি সময়টা নষ্ট হয় সেই এনার্জিটুকু তিনি অন্য কাজে ব্যয় করতে বেশি আগ্রহী। তাই সকালের সময়টা বাঁচাতে অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. ই-মেইল চেকও নয়

সকালে উঠেই ই-মেইলে চোখ বুলানোর অর্থ হলো আমি কাল কী কী মিস করলাম সেই ফ্রেমে ফেলে দিনটাকে সাজানো। এভাবেই প্রযুক্তি আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করে। এভাবে একটি নেতিবাচক ভয় দিয়ে দিন শুরু করা মোটেও কোনো ভালো কাজ নয়। তাই ই-মেইল চেক না হয় একটু পরেই করবেন।

৬. সকাল বেলাটা বিছানায় কাটাবেন না

সকালটা বিছানায় গড়াগড়ি করতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠলে একটু ব্যায়ামের অভ্যাস কিন্তু খারাপ না। এতে শরীরও খুব ভালো থাকে। পাশাপাশি, দ্রুত ফ্যাটও কমে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!